বাংলাদেশের বিশেষ দিন হিসেবে উদযাপিত হয় এই বিজয় দিবস। এই দিনটিতে সারা বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। বিজয় দিবসের এই দিনটিতে পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত, কুচকাওয়াজ অন্যান্য দেশাত্মবোধক গান গাওয়া, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কিছু ভাষণ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। আমাদের দেশের অনেক মানুষই জানে না ২০২২ সালের বিজয় দিবস কত তম হতে যাচ্ছে। তাই আপনাদের জানাতে বিজয় দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে আলোচনা করব।
কততম বিজয় দিবস ২০২২
- এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা।
- ১৬ই ডিসেম্বর এর বিজয় এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করেছি এবং বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ নামে পরিচিতি লাভ করেছি।
- ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের ৫২ তম দিবস।
- বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা শ্রদ্ধা জানাই বাঙালি বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম,বীর বিক্রম ও বীর প্রতীকদের আরো শ্রদ্ধা জানাই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন যারা।
বাংলাদেশ বিজয় দিবস উদযাপিত হয় ডিসেম্বর মাসে। কারণে ডিসেম্বর মাসে বাঙালিরা বিজয় অর্জন করেছিল পাক বাহিনীর কাছ থেকে। মায়ের আঁচলে লুকিয়ে থাকা ভালবাসা রেপ অপূর্ব সৃষ্টি এই বিজয় দিবস। এই বিজয়ের আলোতে আলোকিত আমাদের এই জীবন আমাদের স্বাধীন পথ চলা। বিজয় দিবসের এই দিনটিতে একদিকে মানুষ অনেক আনন্দ হয় কারণ আমরাই দিনটিতে স্বাধীনতা লাভ করেছি আবার অপরদিকে মানুষের মন খারাপ হয়ে যায় কারণ এই দিনটিতে আমাদের বাঙালির অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন এই বিজয় দিবসের জন্য। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ২০২২ সালের বিজয় দিবস কততম তাই আপনাদের জানাতে এখানে বিস্তারিত জানিয়েছে।
১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস
- বিজয় দিবস বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়।
- প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে এই দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়।
- ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
- বাংলাদেশ এ দিনটিতে সরকারিভাবে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। সারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিবছর বাংলাদেশে এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করা হয় বিপুল উৎসাহের সাথে। এই দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় রাষ্ট্রপতি কিছু ভাষণ দেয় তার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠান করা হয়। প্রত্যেক স্কুল এবং কলেজের বিজয় দিবস পালন করা হয়।
বিজয় দিবস কবে পালন করা হয়
- ১৯৭১ সালটি দেশের ইতিহাসের পাতায় জল জল করে।
- ভারতীয় সেনা পাকিস্তানকে দুটি খণ্ডে ভাগ করে দিয়েছিল যার একটি খণ্ড হলো বাংলাদেশ।
- এই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর ভারত যুদ্ধে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে।
- এ কারণেই প্রত্যেক বছরের ১৬ই ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস বা ভিক্টরি ডে পালন করা হয়।
বাংলাদেশের জন্য গৌরবময় একটি দিন হল ১৬ই ডিসেম্বর। এই দিনটিতে ভারত এবং বাংলাদেশের কাছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ করেছিল। এবং সেই দিনে বাংলাদেশ নামে একটি মানচিত্র গড়ে ওঠে।তারি সাথে সাথে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ উপলক্ষে প্রতিবছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করা। ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষই রয়েছে এখন যারা জানেনা বিজয় দিবস কবে পালন করা হয়। এখান থেকে আপনারা জেনে নিতে পারেন।
শেষ কথা
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর গৌরম্ভা বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালি যাত্রা শুরু। এই দিনে সব পরিচয় আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবার সুযোগ পাই। এই দিনটির জন্যই সারা বিশ্বে বাঙালি জাতিও বাংলাদেশের মর্যাদা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। ১৬ই ডিসেম্বর তাই আমাদের বাংলাদেশ বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর সর্বশেষে মর্যাদা নিয়ে জাতির কাছে হাজির হয় এই বিজয় দিবস। ২০২২ সালের বিজয় দিবস কততম এটা অনেকেই জানেন না। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কততম বিজয় দিবস।