আসসালামু আলাইকুম আমার প্রিয় দ্বীনি বোনেরা আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো আল্লাহর কাছে কেমনে দোয়া করতে হয়।আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভালো পর্নের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং খারাপ কর্ম থেকে ফিরে আসা সম্ভব না। কারণ আল্লাহ তাআলা যদি চান সবকিছু করতে পারেন। আল্লাহর হুকুম ছাড়া এ পৃথিবীতে কারো করার সামর্থ্য নেই। আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া নিয়ে উক্তি।
আমরা যদি আল্লাহর কাছে ভালো মনে হয় কোন কিছু চেয়ে থাকি আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের অনেক সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহর কাছে হাত তুলে মন থেকে দোয়া করলেই আল্লাহ তাআলা সেটা পূর্ণ করে দেন। তাই আমরা আজকে কয়েকটি দোয়া বলে দেব। আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় শ্রেষ্ঠ দোয়া করি নিচে দেওয়া হল।
আল্লাহুর কাছে দোয়া নিয়ে উক্তি
মানুষের জীবন পরিচালনার মহাগ্রন্থ হলো আল কোরআন। শুধু জীবন পরিচালনা নয় বরং মানুষের সুখ-দুঃখে রোগব্যাধিও আনন্দ ব্যথায় সান্তনা ও প্রতিকার গ্রন্থ আল কোরআন। কারণ মানুষের কোন বিপদ-আপদ হলে আল কোরআনের মধ্যে দেওয়া আছে সেই দোয়া করবে আল্লাহ তা’আলা বিপদ থেকে মুক্ত করেন। আল-কুরআনের অনেক দোয়া রয়েছে। আল্লাহ কাছে দোয়া ও উক্তি নিয়ে কিছু কথা।
- আবু হুরায়রা ( রা )বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দুটি কাজ এমন যে মুখে উচ্চারণ করা অতি সহজ, পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। তা হল সুবাহানাল্লাহ হি ওয়া বিহামদিহি সুবহা নাল্লাহিল রাজিম। (বুখারী হাদিস নং ৫৯৫১, মুসলিম হাদীস নং ৬৬০১ )
- মাত্র ১ মিনিটে আপনি ১০০০ বারের আস্তাগফিরুল্লাহ দোয়াটি পাঠ করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ দোয়াটি পড়লে সব বিপদ আপদ থেকে দূরে রাখে আল্লাহ এবং এই দোয়াটি মাগফিরাত লাভ হয় এবং জান্নাত লাভ হয় এবং আপনার সব ধরনের শক্তি বাড়বে।
- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এবং ঘুমানোর পূর্বে সুবাহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়তে বলেছেন। এই দোয়াটি পড়ে আল্লাহর কাছে অনেক কিছু চাওয়া যায়।
ছোট ছোট ইসলামিক উক্তি
নবী-রাসূলদের যেসব পার্থনা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে তুলে ধরেছেন। যাতে মানুষ অন্য কারো কাছে সাহায্য না আছে শুধু মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য বা যাবতীয় বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ছোট ছোট ইসলামিক উক্তি নিয়ে নবী-রাসূলরা অনেক কথা বলে গিয়েছেন আজকে আমরা তুলে ধরব।
- যে নিজে সর্তকতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না। – ( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
- মাতা পিতা কে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার শান্ত সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও। – ( আল হাদিস )
- মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু। -( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
- নিজের মর্যাদা বোঝে না, অন্যরাও তার মর্যাদা বোঝে না। – ( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
- ধন সম্পদ হচ্ছে কলহের কারন, দুর্যোগ এর মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন। – ( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
আল্লাহর ভয় নিয়ে বাণী
আল্লাহ তাআলা বলেছেন মুসলমানদের যে তোমরা আমাকে ভয় করো এবং তোমরা আমাকে ভয় করে আমার এবাদত করো। তার বিনিময় আমি তোমাদের পুরস্কৃত করবো। মুসলিমদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা কারণ আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাহার ইবাদত করার জন্য। আল্লাহর ভয় ও বাণী নিয়ে কিছু কথা ।
- কার সাথে কথোপকথনের বিনয়ী হওয়াটা একজন ব্যক্তির জন্য আবশ্যক। – ইমাম আল কুরতুবি ( রহিমাহুল্লাহ )
- নিজেকে আল্লাহর রহমত সমূহের কথা নিজেকে বেশি করে স্মরণ করিয়ে দিন,কেননা যিনি বেশি বেশি স্মরণ করেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সম্ভাব্য বেশি থাকে। – উমার বিন আব্দুল আজিজ ( রহিমাহুল্লাহ )
- আপনি যখন কোনো সৃষ্টিকে ভয় করবেন তখন তার থেকে দূরে পালাতে চেষ্টা করবেন। আর আপনি যখন আল্লাহকেভয় করবেনকখন থাকে ভালোবাসবেন এবং তার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্ঠা করবেন। – ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম ( রহিমাহুল্লাহ )
শেষ কথা
সুতরাং দুনিয়ার যাবতীয় ফেতনা-ফাসাদ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর কাছে আমরা সব সময় দোয়া চাইবো যাতে আমাদের এসব থেকে বিরত রাখে এবং তাঁর ইবাদত বন্দেগিতে আমরা সব সময় থাকতে পারি। মুসলমানদের কর্তব্যই হলো আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করা এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। এতে আল্লাহতায়ালা খুশি হন। আশা করি প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা আমরা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া চাইব।