আলতা নিয়ে ক্যাপশন

বাঙালি নারীদের সাজসজ্জা অন্যতম সরঞ্জাম হলো এই আলতা। বাঙালি নারীদের বিয়ের মধ্যে যদি এই আলতা সরঞ্জামটি না থাকে তাহলে সেই বিয়েকে বিয়ে মনে করে না। কেননা আলতা ছাড়া সাজসজ্জা হয় না একটা নারী। কোন নারী যদি পায়ের এবং হাতের মধ্যে আলতা নেয় তাহলে সে নারীকে অপরূপ সৌন্দর্য লাগে। বিশেষ করে নারীরা যখন কোন শাড়ি পরে তখন যদি পায়ের মধ্যে হালকা আল্টান করে তাহলে সে নারীকে দেখা যায় অনেক সুন্দর। আলতা সচরাচর সব সময় পড়ে না এটা বিশেষ অনুষ্ঠান পূজা কিংবা নৃত্য প্রতিযোগিতা তখনই পড়া হয়। বিয়ের দিনে কুনের পায়ে আলতা পরানোর রীতি গ্রামবাংলায় চলে আসছে আবহমানকাল ধরে আর সেই ঐতিহ্যবাহী অব্যাহত থাকে সেটাই দেখার বিষয় আমাদের। তাই এখনো অনেকে অনলাইনে এই আলতা নিয়ে ক্যাপশন অনুসন্ধান করেন। তাই আজকের এই পোস্টে জানাবো আলতা নিয়ে কিছু ক্যাপশন।

আগের সময়কালে দেখা যেত কোন নারীর বিয়ের মধ্যে আলতা এই সরঞ্জামটি থাকতো। ঐ সরঞ্জামটি না থাকলে বাঙালিরা তখন বিয়ে মনে করত না। কেননা বেশির ভাগ মেয়েরাই সাধের অংশ হিসেবে আলতা ব্যবহার করত। আলতা বেশিরভাগ হিন্দু মেয়েরা ব্যবহার করে নিজেদের সুন্দর করে তোলার জন্য। আলতা সাধারণত সবাই ব্যবহার করে কিন্তু বেশিরভাগ এটা ব্যবহার করে হিন্দুরা। হিন্দুদের কিছুদিন পর পরই একটা না একটা পূজা থাকে আর সেই পূজার মধ্যে প্রত্যেকটা নারী আলতা দিয়ে সাজে। হিন্দুরা তাদের পুজোর মধ্যে শাড়ি আরও বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম দিয়ে তো সাজে কিন্তু তাদের আলতা এই সরঞ্জামটি লাগেই। আলতা না থাকলে তাদের সাজ সম্পন্ন হয় না। কিন্তু বর্তমান যুগে এই আলতা কেউ নিতে চায় না খুব কম মানুষই এটা নেয়।

আলতা নিয়ে ক্যাপশন

  • আলতা রঙ তোমার সৌন্দর্য উজ্জ্বল করে দেয়।
  • আলতা রঙের সাথে তোমার পা মিশে একটি প্রকৃত সৌন্দর্য উৎপন্ন করে দেয়।
  • আলতা রঙ তোমার পা আরও সুন্দর করে দেয়।
  • গায়ে হলুদ আজ, পায়ে আলতা, হাতে মেয়েদি, কনেরে বিয়ের সাজে সাজাও জলদি।
  • আলি তোমার নাকের নথ, আলতা রাঙা পায়ে এসো, তাকিয়ে দেখো আমিই তোমার পথ।
  • আলতা বিবাহিতা স্ত্রীর চিহ্ন কিন্তু চাইলে যেকোনো নারীই পায়ে আলতা দিতে পারে।
  • ফুটফুটে পায়ে আলতা পড়ার স্বাদ, ফুটিফাটা পায়ে রক্তের দাগ।
  • কোনো একদিন বেরঙিন পায়ের পাতা আলতা পরিয়া রাঙা করিয়া দাঁড়াব ঠিক তোমার বাড়ির উঠোনে।
  • আমি আলতা পাতে নুপূর পরে মুচকি হাসি হাসছি। তুই চোখ দুটো তোর বন্ধ রাখ তোর কাছেই আসছি।
  • কালো ভেজা চুল, লাল টকটকে ঠোঁট, আলতা রাঙা পা, কাজল চোখে তির মেরেছে বাঁচতে পারব না।
  • হিন্দু বিবাহিত নারীদের সিঁদুরের পাশাপাশি আলতাও দেওয়া হতো তাই অনেকেই এটাকে ‘হিন্দু সংস্কৃতি’ আখ্যা দিয়ে আলতা ব্যবহার করত না। আসলে এটিকে হিন্দু সংস্কৃতি বিবেচনা করা যাবে না। একে বাঙালি সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।