এ বাস্তব জীবনে চলার পথে বিপদ নিত্যদিনের সঙ্গী। এটি জীবনে আসবে আবার চলে যাবে। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বিপদ আসে আবার চলে যায় কিন্তু কিছু মানুষ আছে একজন বিপদে পড়েছে তাই তার কাছ থেকে দূরে চলে গেছে কিন্তু বিপদ কেটে গেছে সে আবার তার কাছে ফিরে এসেছে। এজন্যই কথায় আছে বিপদে পড়লে মানুষ চেনা যায়। মানুষ বিপদে পড়লে অনেকের কাছেই যায় নেতাদের কাছে বন্ধুবান্ধবদের কাছে কিন্তু কখনোই আল্লাহ তাআলার কথা ভাবে না। কিন্তু আমাদের সব বিপদ থেকে এই আল্লাহ তায়ালাই রক্ষা করেন কোন নেতা বা বন্ধু-বান্ধব না। তাই একজন মানুষ যখন বিপদে পড়বে তখন আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা উচিত। অনেকেই বিপদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি অনুসন্ধান করেন। তাই আজকের এই পোস্টে জানাবো বিপদ নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি।
জীবনে চলার পথে প্রত্যেকটা মানুষ এই বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। এই বিপদ মানুষের জীবন থেকে চলে যায় আবার ফিরে আসে এটাই হতে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই এই বিপদে পড়লে নেতাদের পেছনে ঘুরি কিন্তু তারা কখনোই বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করে না। তারা বিপদ থেকে রক্ষা করে তখন যখন আপনি তাকে অর্থ দিবেন। একজন মানুষ যখন বিপদে পড়বে তখন তার উচিত আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা কেননা তিনি কোন কিছু ছাড়াই সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করে। বিপদ থেকে রক্ষা করার মালিক আল্লাহ এবং বিপদে ফেলার মালিকও আল্লাহ। তবেই আমরা যদি বিপদে পড়ি সবসময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করব।
বিপদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি
- সৎ লোক সবার বিপদে পড়লে আবার উঠে কিন্তু অসৎ লোক বিপদে পড়লে একবারে নিপাত যায়। – হযরত সুলাইমান (আঃ)
- আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে বিপদে আক্রান্ত করেন। – (সহিহ বুখারিঃ ৫৬৪৫)
- আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য (বিপদ হতে) নিষ্কৃতির পথ তৈরি করে দেন। – (সুরা : তালাক, আয়াত : ০২)
- আল্লাহ তা-আলার সাথে যখন সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়, তখন বিপদ থাকে না। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির বড় উপায় হলো খুব বেশি দোয়া করা। – মুফতি মুহাম্মদ শফী রহঃ
- বিপদ যত বড়ই হােক, তাকে চিরস্থায়ী মনে করাে না। মৃত্যুর কথা কোন সময় ভুলে যেয়ো না। – হযরত আলী (রাঃ)”
- যে বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তাকে উত্তমরূপে পুরস্কৃত করেন। – আল-কোরআন”
- যে ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত হয় নাই সে প্রকৃত ধীর সহিষ্ণু হইতে পারে না, যেমন বহুদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা ব্যতীত কেহ সুচিকিৎসক হইতে পারে না। – আল হাদীস”
- আপনার দুর্বলতাকে ও বিপদকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। – ড. বিলাল ফিলিপ্স
- আল্লাহ তা-আলার সাথে যখন সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়, তখন বিপদ থাকে না। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির বড় উপায় হলো খুব বেশি দোয়া করা। – মুফতি মুহাম্মদ শফী রহঃ
- প্রকৃত মানুষ দুটি জিনিস চায়: বিপদ এবং খেলা। যে কারণে তিনি নারীকে সবচেয়ে বিপজ্জনক খেলার জিনিস হিসেবে চান। – ফ্রেডরিখ নিটশে
- একজন সাহসী মানুষের চোখে রোদের মতো বিপদ উজ্জ্বল। – ইউরিপাইডস
- সাহস যেমন জীবনের বিপদ, তেমনি ভয়ও এর সুরক্ষা। – লিওনার্দো দা ভিঞ্চি
- বিপদ সংবেদন উত্তেজনাপূর্ণ। নতুন বিপদ খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ। – আয়র্টন সেনা
- বাহ্যিক বিপদ থেকে সুরক্ষা হচ্ছে জাতীয় আচার -আচরণের সবচেয়ে শক্তিশালী পরিচালক। এমনকি স্বাধীনতার প্রবল ভালোবাসাও কিছু সময়ের পরে তার নির্দেশনাগুলোকে পথ দেখাবে। – আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন
- আমি সবসময়ই প্রথম উত্তরদাতাদেরকে অচেনা নায়ক এবং খুব বিশেষ মানুষ হিসেবে দেখেছি কারণ, যখন অন্য সবাই বিপদ থেকে পালাচ্ছে, তখন তারা এতে ছুটে যায়। – ডোয়াইন জনসন
- নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন। – ড. বিলাল ফিলিপ্স
- বিপদ যখন দরজায় জোরে আঘাত করছে না তখন জিনিসগুলিকে আবার মঞ্জুর করা শুরু করা মানুষের স্বভাব। – ডেভিড হ্যাকওয়ার্থ
- আমি খুব কমই একজন রাজনীতিকের সাথে দেখা করি যা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। এরা সাধারণত কমনীয়তা দ্বারা সমৃদ্ধ। এর মধ্যেই রয়েছে বিপদ। – পি জে ও’রুরকে
- সাহস – বিপদের পরিমাপের একটি নিখুঁত সংবেদনশীলতা, এবং এটি সহ্য করার মানসিক ইচ্ছা। – উইলিয়াম টেকুমসেহ শেরম্যান
- বিপদ এমন নয় যে পাছে রুটি আছে কিনা আত্মার সন্দেহ করা উচিত নয়, পাছে মিথ্যা বলে নিজেকে বোঝাতে হবে যে এটি ক্ষুধার্ত নয়। – সিমোন ওয়েইল
- সত্যিকারের বিপদ হল যখন স্বাধীনতা খর্ব করা হয়, সুবিধার্থে এবং অংশ দ্বারা। – এডমন্ড বার্ক
- একজন মানুষের জীবনের প্রথম সময়কালে সবচেয়ে বড় বিপদ হল ঝুঁকি না নেওয়া। – সোরেন কিয়ার্কেগার্ড
-
অভিজ্ঞতার কথাই ধরুন, আমি সত্য কথা বলি: নিষ্ক্রিয়তা বিপদে সবচেয়ে নিরাপদ। – সিলিয়াস ইটালিকাস