বর্তমানে আমাদের দেশের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি হল ডাচ বাংলা ব্যাংক। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই এখন ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বেশি করে। এখন যারা প্রবাসে থাকে তারা এই ব্যাংকে বেশি টাকা পাঠায়। তেমনি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সাথে সাথে সেখান থেকে আপনি চাইলে লোন নিতে পারেন। অনেক মানুষ রয়েছে যারা জানেননা ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন কিভাবে নেয়। এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক হোম লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা।
- ব্যাংক থেকে আপনি ইন্টারেস্ট পাবেন সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ।
- অন্যান্য যেকোনো ব্যাংকের থেকে এই ব্যাংকে সুদের হার অনেক কম ৭.৫০ শতাংশ।
- এখান থেকে আপনি বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন।
- এবং এখান থেকে আপনি লোন নিলে ফাইন্যান্স এর সুবিধা পাবেন।
এখনকার বেশিরভাগ মানুষেরই ইচ্ছে পোষণ করে সে ভালো বাড়ি করবে। যারা ব্যবসায় রয়েছেন তাদের বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয় সেজন্য তারা ভালো একটি বাড়ি তৈরি করতে পারে না। আপনারা চাইলে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি করতে পারেন। অনেক মানুষই আছে যারা ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই কিন্তু কোন ব্যাংক থেকে লোন নিলে ভালো হবে সে সম্পর্কে ধারণা নেই। আপনি চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন এই ব্যাংকে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সুবিধা অনেক বেশি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে নিজের জন্য লোন নেয় তাহলে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন।
- এখানে আপনাকে ইন্টারেস্ট দেওয়া হবে ৮ শতাংশ।
- অন্যান্য সব ব্যাংকের তুলনায় এখানে সুদের হার মাত্র ৭.৫০ শতাংশ।
- এখান থেকে আপনি খুব সহজেই লোন নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক এবং আরো অন্য ব্যাংক রয়েছে যেগুলো থেকে জনপ্রিয় হচ্ছে এই ডাচ বাংলা ব্যাংক। এখান থেকে যদি আপনি চান নিজের জন্য লোন নিতে পারবেন। অন্যান্য সব ব্যাংকের তুলনায় আপনাকে এখানে সবথেকে বেশি ইন্টারেস্ট দেওয়া হবে এবং সুদের হার অনেক কম হবে। এজন্য অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন উঠাতে চান। কিন্তু পার্সোনাল লোন কত টাকা উঠানো যায় সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। তাই আপনাদের ধারণা দেওয়ার জন্য এখানে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কাগজপত্র
- ভোটার আইডি কার্ড।
- এক কপি রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের।
- ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা থাকতে হবে।
- ন্যূনতম ৬ মাসের মধ্যে লেনদেন থাকতে হবে।
- আপনার চাকরির সার্টিফিকেট বা বেতনের স্লিপ।
- পার্সোনাল গ্যারান্টি প্রদান।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই এখন ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবহার করে। আপনি যদি চান ডাচ-বাংলা ক্রেডিট কার্ড পেতে পারে। এই ব্যাংক জনগনের সুবিধার জন্য ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করেছে। বেসিরভাগ মানুষই এখন ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকার লেনদেন করে। এই ব্যাংক থেকে আপনি চাইলে খুব সহজেই লোন নিতে পারবেন। অনেক মানুষ আছে যারা এ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই কিন্তু কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে জানেনা। তাই আপনাদের জানাতে চেষ্টা করেছি কি কি লাগে এ ব্যাংক থেকে লোন নিতে।
শেষ কথা
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই কাজের জন্য প্রবাস জীবন বেছে নেন। তারা প্রতি মাসে বাংলাদেশের টাকা পাঠায়। অনেকেই জানেন না যে কোন ব্যাংকে টাকা পাঠালে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। এখন আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠান তাহলে বেশ ভালো হবে। এই ব্যাংকের সুবিধা অনেক বিস্তারিত আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি। ব্যাংক সম্পর্কিত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।