প্রত্যেকটা মানুষের ইগো থাকে। আর এই ইগো থেকে মানুষের সাথে বিচ্ছেদ হয়। যে মানুষের ভেতরে ইগো বেশি সে মানুষটি জীবনে একা হয়ে যায়। কেননা সমাজে যাদের ইগো বেশি তাদের কেউ ভালো চোখে দেখেনা সব সময় খারাপ চোখে দেখে। যাদের ইগো বেশি তারা সমাজের কারো সাথে মিশতে পারে না সব সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। ইগো একটা মানুষকে ধ্বংস করে দিতে পারে ইগো থাকাটা খুবই খারাপ। অনেক বছরের ভালোবাসা সম্পর্ক ইগো ধ্বংস করে দিতে পারে। এই পৃথিবীতে যাদেরই গো বেশি তারা সাফল্য অর্জন করতে পারে না সব কাজেই তাদের সমস্যা হয়। সাধারণত রাগ অভিমান থেকেই ইগোর জন্ম হয়। যদি মনের মধ্যে অনেক রাগ থাকে তাহলে ইগো বেড়ে যায় আর সেই ইগো থেকেই ভালোবাসা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজকের এই পোস্টে ইগো নিয়ে কিছু উক্তি জানাবো।
জীবনে চলার পথে অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। তেমনি কারো সাথে যদি ঝগড়া লাগে তাহলে সেখান থেকে সে মানুষের প্রতি রাগ অভিমান জন্মায়। এবং সেই অভিমান থেকেই মানুষের ভেতরে ইগোর জন্ম হয়। যখন মানুষের ভেতরে ইগোর জন্ম নেয় তখন মানুষের জীবনে সবকিছু উথালপাথাল হয়ে যায়। কেননা যে মানুষটির ভিতরে ইগোর রয়েছে সে সামাজিক কি করে বেড়াচ্ছে সে নিজেও জানবে না। কেননা সে ইগোর ভেতরে রয়েছে। ইগো আসলে কারো প্রতি অনেক রাগ থাকলে তখনই হয়। আর এই ইগো থেকেই মানুষের মধ্যে ঝগড়া লাগে। তাই আমাদের সবার উচিত নিজেদের মনের মধ্যে ইগোর জন্ম না দেওয়া।
ইগো নিয়ে উক্তি
- ইগো মানুষের সুবুদ্ধির পথে অন্যতম বাধা। – মারিয়ান মুর (আমেরিকান কবি)
- সত্যিকার বড় হতে চাইলে ইগোকে বন্দী করে রাখো। – মেরি রবার্টস রিনহার্ট (বিখ্যাত লেখিকা)
- ইগোইস্ট মানে এমন একজন মানুষ যে অন্য সবাইকে ছোট করে দেখে। – জোসেফ ফোর্ট নিউটন (ধর্মীয় নেতা ও লেখক)
- একজন মানুষের ইগো ভাঙার মূহুর্তের চেয়ে ভালো মূহুর্ত আর একটিও নেই। – ববি ফিশার (সর্বকালের সেরা দাবা খেলোয়াড়)
- ইগোর মৃত্যু মানে আত্মার জাগরণ। – মহাত্মা গান্ধী
- পৃথিবীর যাবতীয় বিবাদ, যুদ্ধ আর ব্যর্থতার জন্য যদি মাত্র একটি জিনিসকে দায়ী করা হয় – তা হবে মানুষের ইগো। – সংগৃহীত
- ভালোবাসা অন্যকে কিছু দিতে পেরে সুখী হয়। ইগো ছিনিয়ে নিয়ে সুখী হয়। – রাজনীশ (ভারতীয় দার্শনিক)
- ওপরে ওঠার সময়ে ইগো মানুষকে কুকুরের মত অনুসরন করে। – ফ্রেডরিচ নিডসে (জার্মান দার্শনিক )
- ভুল বোঝাবুঝি দূর করার প্রথম শর্ত হল ইগোকে হত্যা করা। – সংগৃহীত
- নিজের শুণ্যতাকে ঢাকার সবচেয়ে বাজে ও অকার্যকর ঢাল হল ইগো। – সংগৃহীত
- কেউ তোমার ভুল ধরিয়ে দিলে যদি তুমি অপমান বোধ কর, তোমার মাঝে ইগো সমস্যা আছে। – নোমান আলী খান (আমেরিকান ইসলামিক স্কলার)
- ইগো অন্যের কাছে বড় হওয়ার নিরন্তর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। – অ্যালান ওয়াটস্ (বৃটিশ দার্শনিক)
- ইগো তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু। সে সব সময়ে তোমাকে থামিয়ে রাখতে চাইবে। – ফ্র্যাঙ্ক কার্লটন (আমেরিকান গায়ক ও লেখক)
- তুমি যখন বিচক্ষণ হতে থাকবে, তখন ইগোও জানালা দিয়ে পালাতে শুরু করবে। – বিলি ওশান (ত্রিনিদাদিয়ান শিল্পী)
- যারা ভাবে যে তারা সবার চেয়ে বেশি জানে, তারা সত্যিকার জ্ঞানীদের কাছে বিরক্তিকর। – আইজ্যাক আসিমভ্ (বিশ্বখ্যাত লেখক)
- অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ইগোর সবচেয়ে বড় একটি অস্ত্র। এটা না হলে সে নিজেকে শক্তিশালী করতে পারে না। – ইকহার্ট টলি (কানাডিয়ান লেখক)
- যার জ্ঞান যত বেশি, তার ইগো তত কম। জ্ঞান কম, মানে ইগো বেশি। – আলবার্ট আইনস্টাইন
- প্রতিভাকে খুন করা হল ইগোর সবচেয়ে বড় শক্তি। – সংগৃহীত
- যে কোনও বড় অর্জনের পথে ইগো হল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। – রিচার্ড রোস (কবি ও দার্শনিক)