কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি , নিয়ম ও পাওয়ার যোগ্যতা

আপনারা যারা কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করেন তারা সবাই জানেন এই ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি লোন নিতে পারবেন। আপনি যদি চান এখান থেকে ব্যবসার জন্য লোন নিতে পারবেন অথবা আপনার যে কোন পার্সোনাল কাজের জন্য। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এগুলোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান ব্যাংক মানুষকে ঋণ দিয়ে থাকে। কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি , নিয়ম ও পাওয়ার যোগ্যতা কিকি লাগে অনেকেই জানেন না। তাই বিস্তারিত আপনাদের জানাবো।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন কি কারণে দেওয়া হয়

  • কৃষিভিত্তিক শিল্পে ঋণ প্রদান।
  • বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান।
  • শিল্প-কারখানার কর্মচারীদের কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান।
  • কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ক্রয় ঋণ।
  • গৃহ নির্মাণ ঋণ।
  • মোটর সাইকেল ঋণ।

বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকে এখন লোন দেওয়া হয়। আপনি চাইলে অনলাইন মোবাইল লোন নিতে পারবেন। কিন্তু কর্মসংস্থান ব্যাংকের মতো সুবিধা পাবেন না। আপনি যদি এখান থেকে লোন নেন তাহলে আপনি ইন্টারেস্ট পাবেন। আপনারা অনেকেই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান কিন্তু জানেননা সেই ব্যাংক কোন কারণে লোন দিবে। উপরে আমরা জানাতে চেষ্টা করেছি কর্মসংস্থান ব্যাংক কি কারনে লোন দেয়।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • যে লোন নিবে তার বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আপনি যে কাজের জন্য লোন নিবেন, সে কাজের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ঋণ নীতিমালা মানার জন্য একনিষ্ঠ হতে হবে।
  • ঋণখেলাপিরা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেনা। 

বর্তমানে বাংলাদেশের সব ব্যাংকেই লোন দেওয়া হয়। তারমধ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক এখান থেকেও মানুষ অনেক লোন নেয়। যারা নতুন এ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই হয়তো জানেন না এখান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন। কারণ কোন ব্যাংক আপনাকে যোগ্যতা ছাড়া লোন দিবে না। কর্মসংস্থান থেকে লোন নিতে হলে এটারও একটা নিয়ম আছে। এখান থেকে লোন নিতে হলে উপরে যে শর্তাবলী গুলো দিয়েছিলি সেগুলো মানতে হবে তাহলে আপনি এ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার কাগজপত্র

  • ঋণ আবেদনের জন্য ফরম।
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
  • আপনি যাকে দিয়ে নমিনি করাবেন তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • উদ্যোক্তা অথবা আন্ডারে স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র।
  • উদ্যোক্তা গ্যারান্টার এর দলিলের ফটোকপি এবং নিকটস্থ ইউপি চেয়ারম্যান অথবা মেয়র সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর কর্তিক নাগরিকত্ব সনদ।
  • আপনি যদি ১ লক্ষ টাকার ওপরে লোন নিতে চান তাহলে ট্রেড লাইসেন্স এর কপি প্রয়োজন হবে।

ব্যবসা কিংবা নিজের পার্সোনাল কাজে মানুষ এখন লোন নেয়। এখন প্রায় সব ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করা যায়। কিন্তু সব ব্যাংকের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র আলাদা। এখন আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে লোন উঠানো সে ব্যাংকে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। তেমনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইলে আপনাকে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা বিস্তারিত এখানে জানাতে চেষ্টা করেছি।

শেষ কথা 

আপনারা যারা কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তারা অনেকেই এমন রয়েছে জানেনা এই ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি কাগজপত্র লাগে। এটা না জানার কারণে যারা লোন নিতে যায় তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনারা চাইলে এখান থেকে বিস্তারিত জেনে তারপর কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন উঠাতে যাবেন। ব্যাংক এবং লোন সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।