হেলাল হাফিজ ছিলেন কষ্টের ফেরিওয়ালা মানুষের কষ্ট সে কিনে নিতে চাইছেন। নব্বই দশকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কপোত-কপোতি নিরেট প্রেমের সুধা পেয়েছিলেন হাফিজের কবিতায়। সেই কবিতা আপনি যেমন ভাবে লিখেছিলেন যে ওটা একরকম আন্দোলনের মতো হয়েছিল। যে কবিতাটি নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কবিতাটি তখনকার সময়ে কেউ প্রকাশ করার সাহস পায়নি কিন্তু আহমদ ছফার কল্যাণে রাতারাতি দুটি লাইন ছেয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দেয়ালে। যে দুটি লাইন শুনে বারুদের মতো উসকে দেয় সবাই। এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এই দুইটি লাইন। আজকে আমরা হেলাল হাফিজের কিছু উক্তি, বাণী ও স্ট্যাটাস জানব।
হেলাল হাফিজের জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯৪৮সালে। রাজা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে জন্ম নেওয়া সেই কবি হেলাল হাফিজ বাংলা কবিতার রাজ্যে রানী বিহীন রাজা হয়ে সিংহাসনে বসে ছিলেন। তখন কারও সাধ্য ছিল না তাকে পরাজিত করার। সে ছিলেন কষ্টের ফেরিওয়ালা দুঃখের নাগর স্বদেশ জুড়ে গোলাপ বাগান তৈরি করার সংকল্প নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিল বাংলার মাটিতে। তিনি যে কবিতাটি লিখেছিলেন সেই কবিতাটির মধ্যে দুটি লাইন ছিল যে লাইনগুলো শুনে মানুষ বারুদের মত হয়ে গিয়েছিল। ১৯৮৬ সালে তাঁর কবিতার প্রকাশিত ঘটে।
হেলাল হাফিজের উক্তি
বাংলা কবিতা হেলাল হাফিজ এর আগমন যেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মত। যে হুঙ্কার দিয়ে তিনি আবির্ভূত হলেন তার ঝংকার এখনো ধ্বনিত হচ্ছে। হেলাল হাফিজের কবিতা টি নব্বইয়ের দশকে বোম্বের উদযাপিত করেছিল। কারন সে কবিতাটি এমন ভাবে লিখেছিল তার প্রথম দুটি লাইন শুনে তরুণরা বারুদের মত হয়ে গিয়েছিল। তরুণরা এটা কবিতা হিসেবে নেয় নি তারা নিয়েছিল এটা যেন একটা বুলেট। হেলাল হাফিজের সেই কবিতার দুটি লাইন ঢাকার দেয়ালে ছড়িয়ে পরে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে হেলাল হাফিজের কিছু উক্তি জানব।
- নিউট্রন বোমা বোঝ মানুষ বোঝ না। – হেলাল হাফিজ
- আমিতো কাচের নই তাও চৌচির হয়ে গিয়েছি। – হেলাল হাফিজ
- এখনো তোমার শরীরের ঘ্রাণ লেগে আছে আমার বুক পকেটে। – হেলাল হাফিজ
- দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন। কেউ বলেনি তবু এলাম বলতে এলাম ভালোবাসি। – হেলাল হাফিজ
হেলাল হাফিজের বাণী
হেলাল হাফিজ বাংলাদেশে একজন আধুনিক কবি যিনি বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে দিয়ে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সে ছিলেন কষ্টের ফেরিওয়ালা। তার কাছে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন ছিল যেগুলো হল, ঘরের কষ্ট পরের কষ্ট, পাখি এবং পাতার কষ্ট,আলোর মাঝে কালোর কষ্ট আরো বিভিন্ন রকমের কষ্ট ছিল তার জীবনে। আর কে দেবে সে ছাড়া আসল শোভন কষ্ট আমার মত ক’জনের আর জীবন হয়েছে নষ্ট। আজন্ম মানুষ আমাকে পোড়াতে পোড়াতে কবি করে তুলেছে মানুষের কাছে আমার এক ধরনের ঋণ এমনি আমার কপাল। আজকে হেলাল হাফিজের বাণী জানব।
- বেদনাকে বলেছি কেঁদো না। – হেলাল হাফিজ
- তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ। – হেলাল হাফিজ
- ভালোবাসা মিলনে মলিন হয় বিরহে উজ্জ্বল। – হেলাল হাফিজ
- তোমার বুকের ওড়না আমার প্রেমের জায়নামাজ। – হেলাল হাফিজ
- হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি নয় তো গিয়েছি হেরে থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা কে কাকে গেলাম ছেড়ে। – হেলাল হাফিজ
হেলাল হাফিজের স্ট্যাটাস
বাঙালি তখন নিউট্রন বোমা মানুষ বোঝে না। সেই সময় হেলাল হাফিজের বাঙালির মানুষের প্রতি ছিল অনেক বিশ্বাস এবং গভীর শ্রদ্ধা। কবি কখন বলেছিলেন আজন্ম মানুষ আমাকে পোড়াতে পোড়াতে কবি গড়ে তুলেছেন আমি মানুষের কাছে এক প্রকার ঋণ রয়েছি। হেলাল হাফিজ প্রেম অভিমান নিয়েও নারীর প্রতি আখ্যান। প্রেম নিয়ে এসে জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে, এক মানবী তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন জীবনে আর কত কষ্ট দিবে তাকে। তাই সে তার পর থেকে বেদনাকে ভুলে গিয়ে কবি হওয়ার দিকে বিরহে পাঠ করে সিক্ত হয়ে ওঠে। হেলাল হাফিজের কিছু স্ট্যাটাস।
- তাবিজ এ কেমন তাবিজ করছো সোনা,ব্যাথাও কমে না বিষ ও কমেনা। – হেলাল হাফিজ
- ভালোবেসেই নাম দিয়েছি তনা মন না দিলে, ছোবল দিও তুলে বিষের ফনা। – হেলাল হাফিজ
- বোকা উদ্ভিদ তবে কি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিল,চেয়েছিল আর কিছু বেশি। – হেলাল হাফিজ
- আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো,ধুরুপদীপিপাসা নিয়ে আসো যদি লাল শাড়িটা তোমার ওপরে এসো। – হেলাল হাফিজ
শেষ কথা
তাই বলা যায় যে হেলাল হাফিজ একজন প্রেমিকও ছিলেন এবং বিখ্যাত কবি ছিলেন। কারন সে নারীর প্রতি একখান ছিল। সে একসময় এক মানবী কে ভালোবাসতেন কিন্তু সে জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছেন ভালোবেসে। তাই সে ভালোবাসাকে বিরহ করে সিক্ত হয়ে ওঠে কবির পথে চলেছিলেন। কবি হয়ে তিনি একটি কবিতা লিখেছিলেন যেটিতে তরুণদের নব্বই এর দশকে লড়াইয়ের জন্য উদযাপিত করে তুলেছিলেন। হেলাল হাফিজ শেষ বিংশ শতাব্দীতে গিয়ে জনপ্রিয় লাভ করেন। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে হেলাল হাফিজের কিছু কথা এবং তার উক্তি, বাণী ও স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি আপনারা তার সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছেন।