ইফতার নিয়ে উক্তি

আমরা যারা ইসলাম ধর্মে রয়েছি তারা সবাই জানি আমাদের জন্য রোজার মাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রোজার মাসে আল্লাহর কাছে আমরা যা চাই তাই পাই। রোজার মাসে আমাদের পুরো এক মাস আল্লাহ তাহলে কি খুশি করার জন্য রোজা রাখতে হয়। আর সেই রোজা রাখার পর নামাজও পড়তে হয় আর নামাজে যদি আমরা আল্লাহর কাছে যা চাই তাই পাই। সারাদিন না খেয়ে আমাদের মাগরিবের আজানের সময় ইফতার করতে হয়। তাহলে আমাদের রোজাটা সম্পূর্ণ হয়। যেহেতু আর একমাস পর থেকে রোজা এজন্য অনেকেই ইফতার সম্পর্কে উক্তি অনুসন্ধান করেন অনলাইনে। তাই আজকের এই পোস্টে শেয়ার করব ইফতার নিয়ে কিছু উক্তি।

প্রত্যেকটা মুসলমানের কাজ রোজার মাসে রোজা রাখা। একটা রোজাও যেন বাদ না যায় প্রয়োজন ছাড়া। কেননা প্রয়োজন ছাড়া রোজা বাদ দিলে আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন না। রোজা রাখার পর আমরাই ইফতার করি আর ইফতার করার সময় আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া চাই। আর সেই দোয়া আল্লাহ তায়ালা খুব সহজে কবুল করে নেন। কেননা সারাদিন পুরো ব্যক্তি না খেয়ে আল্লাহর ইবাদত করেছে সেজন্য আল্লাহ তাআলা তার খুশির জন্য তাকে সবকিছু দেয় রোজার মাসে। তাই আমাদের সবার উচিত রোজার মাসে রোজা রাখা। একটা রোজাও যেন ভাঙ্গা না যায়। রোজার মাসে ইফতার করতে হবে এটাই স্বাভাবিক যারা রোজা থাকে তাদের প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় মাগরিবের আজানের সময় ইফতার করতে হয়। কেননা ইফতার করলেই সম্পূর্ণ রোজা হয়।

ইফতার নিয়ে উক্তি

  • যখন রাত পূর্ব দিগন্তে ঘনিয়ে আসে ও দিন চলে যায় এবং পশ্চিমে সূর্য ডুবে, তখন রোজাদার ইফতার করবে।  –  বুখারি, হাদিস: ১৮৩০
  • রাসূল (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করা পছন্দ করতেন, আর কোনো কিছু না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করে নিতেন।  –  আল হাদিস
  • ইফতার করো খেজুর দিয়ে কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর বরকত। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করো কেননা পানি উত্তম পরিষ্কারক।  –  আনাস ইবনে মালেক (রা.); তিরমিজী
  • একজন রোজাদারকে ইফতারের সময় যে আহার করান, রোজা রাখার সমান সওয়াব সে ব্যক্তি পাবে, কিন্তু তাতে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।  –  জায়েদ ইবনে খালেদ (রা.); তিরমিজী
  • ইবনে সা’দ (রাঃ) বলেন যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, লোকেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে। কেননা দেরীতে ইফতার করা ইহুদি খ্রিষ্টানদের স্বভাব।  –  (বুখারী ও মুসলিম)
  • রমজান মাস শুরু হলে বেহেশতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয় আর দোযখের দুয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং এসময় শয়তানকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়।  –  রাসূল (সা.) (ইমাম বুখারী)
  • আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সা.) বলেন, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে।  –  তিরমিজি: ৫৬০
  • যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। এবং ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে।  –  হযরত মুহাম্মদ (সা.)
  • পানি মিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি খেজুর অথবা এক ঢোঁক পানি দ্বারাও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব ওই ব্যক্তি পাবেন।  –  হযরত মুহাম্মদ (সা.)
  • রোযাদারকে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করালে আল্লাহ তায়ালা আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত পিপাসার্ত হবে না।  –  হযরত মুহাম্মদ (সা.)
  • রাসূল (সা.) তিনটা তাজা-পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা-পাকা খেজুর না পেলে তিনটা শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর তাও না পেলে তিন ঢোঁক পানি পান করে ইফতার করতেন।  –  আনাস ইবনে মালেক (রা.); তিরমিজী
  • যখন কোনো রোজাদার রোজা নেই (বে-রোজাদার) এমন কাউকে আপ্যায়ন করে, তখন তার আহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা রোজাদারের ওপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে।  –  উম্মে আমাবাহ আল আনসারিয়া (রা); তিরমিজী