জীবনানন্দ দাশ রূপসী বাংলার কবি, নির্জনতার কবি, তিমির হননের কবি এবং দূষণ ও তার কবি হিসেবে পরিচিত। জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্টের অন্তর্গত বর্তমান বাংলাদেশি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। জীবনানন্দ দাশের পূর্ব পুরুষেরা ঢাকা জেলার বিক্রমপুর গাও পাড়া গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। তার পিতার নাম সর্বনান্দ দাশ এবং মাতার নাম কুসুমকুমারী দাশ। আজকে আমরা জীবনানন্দ দাশের কিছু উক্তি স্ট্যাটাস ও বাণী সম্পর্কে জানব।
আমাদের সবার সুপরিচিত কবিতা আদর্শ ছেলে জীবনানন্দ দাশের মা কুসুমকুমারী দাশের লেখা। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন পিতা মাতার জৈষ্ঠ সন্তান তার ডাকনাম ছিল নিল।১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারিতে ৮ বছরের জীবনানন্দকে বজমোহন বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি করানো হয়। বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে তার বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনার সূচনা হয়।
জীবনানন্দ দাশের বাণী
জীবনানন্দ দাশ শুধু পড়াশুনায় নয় তার ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রজমোহন বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন বর্তমানে এস এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দু’বছর পর ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট বা উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেন অতঃপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবার জন্য বরিশাল ত্যাগ করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি পাস করেন। সেই জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কিছু বানী।
- আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে। – জীবনানন্দ দাশ
- আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে। – জীবনানন্দ দাশ
- অপরাজিতার নির্ভয় আর নীলার নীল হয়ে আমি যে দেখতে চাই সে আকাশ। – জীবনানন্দ দাশ
- সকল কঠিন সমুদ্রের প্রবাল তোমার চোখের বিষাদ বাথসনা। প্রেম নিভিয়ে দিলাম প্রিয়। – জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশের উক্তি
জীবনানন্দ দাশের কবির প্রতি যৌবনের প্রারম্ভে সূচনা হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ১৯২৫ এর জুনেমৃত্যুবরণ করলে জীবনানন্দ দাশ তার স্মরণে দেশবন্ধু নামে এক ব্রাহ্মবাদী কবিতা রচনা করেন। এই থেকে তার কবির পথচলা শুরু হয়ে যায়। সেই কবিতাটি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তার নাম বিকশিত হতে থাকে ধীরে ধীরে। কিরে ধীরে পত্রিকায় সব জাগায় তারে ব্রাহ্মবাদী কবিতাটি সাহিত্য হতে থাকে। জীবনানন্দ দাশের কিছু উক্তি।
- শরীর রয়েছে তবু মরে গেছে আমাদের মন। হেমন্ত আসেনি মাঠে হলুদ পাতা ভরে হৃদযয়ে ভন। জীবানন্দ দাশ
- পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন মানুষ তো ভুলিনি পৃথিবীর কাছে। – জীবানন্দ দাশ
- থমথমে রাত আমার পাশে বসল অতিথি বললে আমি অতীত খোদা তোমার অতীত স্মৃতি। – জীবনানন্দ দাশ
- অর্থ নয় কীর্তি নয় স্বচ্ছলতা নয় আরো এক বিপন্ন বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে। আমাদের ক্লান্ত করে, ক্লান্ত ক্লান্ত করে। – জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশের স্ট্যাটাস
প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের পর কয়েক মাসের মাথাতেই তিনি তার সিটি কলেজের তার চাকরিটি হারান। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে কলেজটিতে ছাত্র অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলাফল স্বরূপ কলেজটিতে ছাত্র ভর্তির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। জীবনান্দদাস ছিলেন কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে কনিষ্ঠতম শিক্ষক। কলকাতার সাহিত্যচর্চায় তার এই সময় তার কবিতা অনেক সমালোচনায় চলে আসে। সেই সমালোচনা পাহাড় করে জীবনন্দদাস আজ কবি। জীবনান্দদাস নিজের সম্পর্কে কিছু স্ট্যাটাস লিখে গেছে সেগুলো আজ আপনাদের শেয়ার করব।
- সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়, আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের পরে। – জীবানন্দ দাশ
- সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে তোমার সায়ার মত ফ্রি আছি তোমার পিছনে। – জীবনানন্দ দাশ
- শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাটির উপরে বলিলাম একদিন এমন সময় আবার আসিয়া তুমি আসিবার ইচ্ছা যদি হয় ২৫ বছর পরে। – জীবনানন্দ দাশ
- আরম্ভ হয় না কিছু সমস্ত তবু শেষ হয় কি যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবীর ধুলো মাটির ঘাসেতে আরো বড় ব্যর্থতা সাথে রোজ হয় পরিচয়। যা হয়েছে শেষ হয় শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয়। – জীবনানন্দ দাশ
শেষ কথা
জীবনানন্দ দাশ ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি বাংলা দুটোই খুব ভালোভাবে শিখে গিয়েছিলেন। এবং তার পাশাপাশি সে ছোটবেলায় ছবি আঁকানোর প্রতি তার মন আকৃষ্ট ছিল। সে কি হয় যৌবন কালের সময়। জীবনানন্দ দাশের মা ও ছিলেন কবি। জীবনানন্দ দাশের প্রথম কবিতা সাহিত্য হওয়ার পর অনেক সমালোচনা হয়েছিল কলকাতার সাহিত্যচর্চায়। সেইগুলো তার জীবনে বার করে জীবনানন্দ দাশ আজ একজন মহাণ কবি। আশা করি আজকে আপনারা জীবনন্দদাশের ছোটবেলা থেকে বড় হওয়ার অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন এবং জীবনানন্দ দাশের বানী উক্তি স্ট্যাটাস সম্পর্কে জেনেছেন।