কুরআন আমাদের সুন্দর জীবন এবং সুন্দর পরিচ্ছন্ন পথ দেখায়। একজন মানুষের কথা বলার থেকে শুরু করে দেখাশোনা খাওয়া-দাওয়া সব কিছুই বাদ যায়নি কোরআন থেকে সব কিছুরই আলোচনা হয়েছে। কুরআন আমাদের অনেক কিছুই শেখায় বাস্তব জীবনে এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য। মৃত্যুর পর আমাদের জীবন কীরকম হবে কিভাবে থাকবো আমরা মৃত্যুর পর সেটার উল্লেখ আছে এই কোরআনে। এবং বাস্তব জীবনে কি কি হবে সেটারও উল্লেখ আছে এই কোরআনে। কিন্তু বর্তমান যুগে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কোরআনকে বিশ্বাস করে না। যারা কোরআনকে বিশ্বাস করে না তারা কোনদিনই আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন না। কোরআন থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিতে পারি। অনেকেই তাই কোরআন নিয়ে উক্তি অনুসন্ধান করেন অনলাইনে। তাই আজকের এই পোস্টে জানাবো কুরআন নিয়ে কিছু উক্তি।
বাস্তব জীবনে সামাজিক ভারসাম্য যদি রক্ষা না হতে পারে তাহলে এই কোরআনের মাধ্যমে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। যদি আমরা কোরআনের যা যা আছে সেগুলো ভালোভাবে আমল করি তাহলে কোনদিনই আমাদের সামাজিক ভারসাম্য খারাপ হবে না। কোরআন আমাদের সব সময় শিক্ষায় কারো সাথে হিংসা বিদ্বেষ করো না সব সময় মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। পবিত্র এই কোরআনে ইরশাদ করা আছে যা দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তোমরা তার লালসা করোনা। যে মানুষ যেটুকু অর্জন করেছে সেটুকু তার প্রাপ্য। আর এই পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা আমাদের পাঠিয়েছেন এবাদত করার জন্য। কুরআনে এটা বহুবার বলা আছে। তাই আমাদের সবার উচিত কোরানে যা যা বলা আছে সেগুলো সুন্দরভাবে আমল করা।
কুরআন নিয়ে উক্তি
- আমি কুরআনে এমন কিছু আয়াত নাযিল করেছি, যার মাধ্যমে মুমিনদের রোগমুক্তি ও শান্তি অর্জিত হয়। – সূরা ইসরাঃ ৮২
- কুরআন আল্লাহর অদ্বিতীয়ত্বের গৌরবময় সাক্ষ্য। – এডওয়ার্ড গিবন বই-দি ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অব রোমান এম্পায়ার
- কুরআন গরীবের বন্ধু ও কল্যাণকামী। ধনীদের বাড়াবাড়িকে কোরআন সর্বক্ষেত্রেই নিন্দা করেছে। – গর্ড ফ্রে হগনস
- যখন তাদের প্রতি (মুমিনদের) কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। – সূরা আনফালঃ২
- আর আমি কুরআনকে খণ্ডাকারে নাজিল করেছি যাতে করে আপনি এটা লোকেদেরকে বিরতি সহকারে পাঠ করে শোনাতে পারেন। – সূরা ইসরাঃ ১০৬
- কুরআন কখনো মুহাম্মদের নিজ মনের রচনা নয়। এটা আল্লাহ কর্তৃক তার নিকট নাযিল হয়েছে। – প্রফেসর এলভি ভিজিলিয়েনের
- বেদ পুরানের যুগ চলে গেছে, এখন বিশ্ব পরিচালনার জন্য পবিত্র কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ। – শিখ ধর্মীয় নেতা গুরু নানক
- মুহাম্মদের এ দাবী আমি মনেপ্রাণে স্বীকার করি যে কুরআন মুহাম্মদ (সাঃ) এর একটি সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ মোজেযা। – মিঃ বোরথ সমুখ
- যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা শোন এবং মনোযোগ দাও যাতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হয়। – সূরা আরাফঃ২০৪
- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কুরআন তেলাওয়াত করতেন প্রতিটি হরফ স্পষ্ট উচ্চারণ করে এবং প্রতিটি আয়াতে বা বাক্যে থেমে থেমে। – তিরমিজি
- যখন আপনি কুরআন তেলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথা বলছেন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। – ইমাম ইবনুল কাইয়ুম
- দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে চাইলে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোনো পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। – ড. বিলাল ফিলিপ্স
- নিঃসন্দেহে কুরআন আরবি ভাষায় সর্বোত্তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ। কোনো মানুষের পক্ষেই এ ধরনের একটি অলৌকিক গ্রন্থ রচনা করা হয়নি। – জর্জ সেল
- এরা কি লক্ষ করে না কুরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারো পক্ষ থেকে হতো, তবে এতে অবশ্যই বহু বিরুদ্ধতা দেখতে পেত।। – সূরা নিসা, আয়াত-৮
- যে ব্যক্তি কোরআন অধ্যয়নে মগ্ন থাকায় (অতিরিক্ত) জিকর ও দোয়ার সময় পায় না। আমি তাকে দোয়া প্রার্থীদের চেয়েও অধিক দিয়ে থাকি। – তিরমিজি
- আমি এই কুরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকারের মাধ্যমে সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোকই অস্বীকার না করে থাকেনি। – সূরা কাহফঃ৫৪
- আমিই এই কুরআন নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষণকারী। – আল কুরআন
- রমজানের সবচেয়ে বিস্ময়কর নেয়ামত হচ্ছে আল কোরআন। – সংগৃহীত
- পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম ইবাদত। – বুখারি
- তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। – মুহাম্মদ (সাঃ)
- অবশ্যই এই কোরআন আমিই অবতীর্ণ করেছি আর নিঃসন্দেহে এর রক্ষার দায়িত্ব আমারই। – সূরা হিজরঃ ৯
- যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকি দশটি নেকির সমতুল্য। – মুসনাদে আহমাদ
- আমি প্রশংসা করি আমার সৃষ্টিকর্তার এবং আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে পবিত্র নবী ও পবিত্র কুরআনের প্রতি। – নেপোলিয়ান বোনাপার্ট