সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মানবাধিকার কেন্দ্র মানবাধিকার বলতে সেইসব অধিকার কে চিহ্নিত করেছে যেগুলি আমাদের প্রকৃতির মধ্যে সহজাত এবং যেগুলি ছাড়া মানুষ হিসাবে আমরা বাঁচতে পারি না।বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার এই দুটি শব্দ একই সূত্রে গাথা । বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মানবাধিকার নিয়ে অঙ্গীকার ছিল অবিচল। শৈশবকাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
মানবাধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাণী,স্ট্যাটাস ও উক্তি সংবিধান বিশেষজ্ঞ দুর্গাদাস বসু মতে মানবাধিকার সেইসব অধিকার যেগুলো মানুষ্য পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রতিটি ব্যক্তি রাষ্ট্র বা অন্যান্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেও ভোগ করে। পৃথিবীর যেকোনো অংশে বসবাসকারী প্রতিটি পুরুষ অথবা নারী একজন মানুষ হিসেবে যেসব মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে সেইসব অধিকারকে মানবাধিকার বলা হয়।
মানবাধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাণী
প্রত্যেকটি মানুষের সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকার নিজ নিজ অধিকার রয়েছে যা তাদের কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মানবাধিকার কোন দেশের বা কারো নিজস্ব দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। নারী-পুরুষ যুবক-বৃদ্ধ সবারই মানবাধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকার মূলত একদিকে স্বাধীনভাবে কথা বলা ও চলাফেরা করার অধিকার ভোগকারীর দায়িত্ব রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের কয়েকটি বাণী।
- সাধারণ অর্থে মানবাধিকার হলো মানুষের অধিকার কিন্তু নির্দিষ্ট অর্থে মানবাধিকার বলতে সেই সকল বিশেষ অধিকার কে বোঝায় মানুষ হওয়ার সুবাদে একজন মানুষ ভোগ করতে পারে। – র্যাফোয়েল
- সব মানুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার যা হস্তান্তরযোগ্য নয়। পৃথিবীতে শান্তি, সুবিচার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার প্রধান সহায়ক। – লেখক অজানা
- ১৭৭২ সালে বিশ্বসেরা সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। – ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী
মানবাধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্ট্যাটাস
বঙ্গবন্ধু তার শৈশব জীবন থেকেই মানবাধিকারের সত্য টিকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতেন। তার শৈশব কাল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তিনি মানব অধিকারের জন্যই কাজ করতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জন্য কখনও কোন সংগ্রাম করেননি তিনি সংগ্রাম করেছেন আমাদের দেশের মানুষের জন্য যাতে আমরা স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে পারি। তাই তিনি মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। মানবাধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্ট্যাটাস।
- মানবাধিকার সেইসব ন্যূনতম অধিকার যেগুলো মানুষ ও পরিবারের সদস্য প্রতিটি ব্যক্তি রাষ্ট্র বা অন্যান্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে ভোগ করে। – দুর্গাদাস বসু
- পৃথিবীর যেকোনো অংশে বসবাসকারী প্রতিটি পুরুষ অথবা নারী একজন নাগরিক হিসেবে যে সব মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে সেগুলোকে মানবাধিকার বলে। – নগেন্দ্র সিং
- আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি, সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ,কেউ তাকে মারতে পারেনা। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
মানবাধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি
মানবাধিকার হল স্বাভাবিক অধিকার কারণ এইসব অধিকারগুলো জন্মগতভাবে লাভ করে। এই অধিকার অর্জন কাউকে দেওয়া যায় না এবং কারো কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া যায় না। বিশ্বজনীন অধিকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ স্ত্রী-পুরুষ ও স্বাধীনতা মর্যাদা রক্ষার অধিকার। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের অধিকার ভোগ করতে পারে। রাষ্ট্রকর্তৃক শিক্ষিত ও যোগ্য না হলেও চিরন্তন অধিকার কোন পরিবর্তন হয় না। সেসব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি।
- প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করে দিব। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী ছিলেন না, কিন্তু তাকে সেই পথে যেতে বাধ্য করা হয়। – নওয়াজ শরীফ
শেষ কথা
মানবাধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক ভাবতেন। বাংলাদেশের জনগণের ওপর তার সন্দেহাতীত অবস্থার কারণে তিনি বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। যে মানুষকে ভালোবাসে সে কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না । মানবাধিকার অন্যর হাতে তুলে দেওয়া যায় না আবার এইসব অধিকার ধ্বংস করা যায় না এবং কেড়ে নেওয়া যায় না। বিশ্ব শান্তি রক্ষা এবং সত্যের প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার একনায়কতন্ত্র স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত মানবিক মূল্যবোধের উপর আঘাত হেনে বিশ্বমানবতার কালিমালিপ্ত মানুষ ও পশুর মধ্যে ব্যবধান রাস। তাই আমাদের এখন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা উচিত এবং সবাইকে সমান অধিকার দেওয়া উচিত।