বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক পটভূমি। ১৯৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা কে পরাজিত করে ইংরেজরা এদেশের কর্তৃক লাভ করে। তাদের শাসন শোষণ ও নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে এদেশে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। নিষ্পেষিত জনতার সংগ্রামী চেতনায় ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী নতুন করে শোষণ চালাতে থাকে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ অর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে চরম শোষণের শিকার হতে থাকে। এমনকি তারা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়ার জন্য প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ফল ত্রুটিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সৃষ্টি হয় ভাষা আন্দোলনের আরেক রক্তিম সংগ্রাম। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অধিকার আদায়ের জন্য সৃষ্টি হয় ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান। বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে স্বাধীন করতে প্রাণ দিতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ বাঙালির। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকে অনলাইনে ছন্দ অনুসন্ধান করেন। তাই এই পোস্টে জানাবো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু ছন্দ।
বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়া সরকার ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা শুরু করে। হিংস্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার পিলখানা, ইপিআর হেডকোয়ার্টার রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ চালায়। শেখ মুজিবকে বন্দী করে পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার সাথে সাথে সারাদেশে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করার জন্য জেনারেল এম এ জি ওসমানির নেতৃত্বে সাবেক ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট সাবেক ইপিআর পুলিশ, আনসার, ছাত্র, যুবক, কৃষক প্রমিক গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। ১৯৭১ সালের সেই মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যেকটি বাঙালির মনের মধ্যে গেথে আছে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছন্দ
- বাংলার মাটিতে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।
- গরিবের উপর অত্যাচার করলে একটা কথাই মনে রেখো আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।
- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই, আমার ইচ্ছে একটাই এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো এবং তাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেব।
- আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
- বিজয়ের পতাকা ওড়াবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের পরোয়া না করে দিনরাত পাক হানাদার বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করে গেছেন।
- পাকহানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের।
- মুক্তিযোদ্ধারা কি ভেবেছিল যে এ দেশ স্বাধীন হবে, মুক্তিযোদ্ধারা কখনো ভেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনা।
- ভয়কে জয় করেই একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশকে স্বাধীন করার জন্য তার জীবনকে বিলিয়ে দেয়।
- মুক্তিযুদ্ধের সেই মহানায়করা তাদের জীবনের বিনিময়ে দিয়ে গেছেন আমাদের এই বাংলাদেশ।
- ওদের ছিল না কোন ভয়, ছিল না প্রাণ হারাবার ভয়। হয় লক্ষ্য ছিল একটাই এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো।
- ওরে রাজাকারের দলেরা তোরা আমার দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের থামিয়ে রাখতে পারবি না। দেশকে স্বাধীন করেই ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
- মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই হয় না, আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হবে। পায়খানাদার বাহিনীদের সাথে লড়তে হবে।
- বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশ থাকবে আমার এই দেশের মুক্তিযোদ্ধারা যতদিন বেঁচে আছে।