প্রত্যেকটা মুসলমানের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। কেননা নামাজ পড়ার মাধ্যমে পরকালে আমরা শান্তি পাব। আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য আর তার এবাদত করতে হলে আমাদের অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে। নামাজ দিয়ে শুধু আপনি পরকালে শান্তি পাবেন না এই বাস্তব জীবনে অনেক শান্তি পাবেন। নামাজ পড়লে সব সময় মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আজ পড়লে মানুষের শরীর স্বাস্থ্য থাকে এবং শরীরের ব্যায়ামও হয়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক ব্যায়াম করে থাকি আপনাদের ব্যায়াম করতে হবে না যদি আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজ নিয়ে অনেকেই অনলাইনে উক্তি পেতে চান। এখান থেকে আপনারা নামাজ নিয়ে সুন্দর সুন্দর উক্তি পাবেন।
নামাজ পড়লে পরকালে জান্নাতের পথ খুলে যায়। শুধু তাই নয় এই বাস্তব জীবনে আমরা যতই গুনাহ করি না কেন যদি নামাজ পড়ি আল্লাহর পথে ফিরে আসে সব গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেয়। নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করতে পারে। মুসলমানরা যখন নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালা তখন সেই বান্দার উপর অনেক খুশি হয়। ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে সময় মত সেই ব্যক্তি আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হয়ে থাকবে সবসময়। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা এই ব্যস্ত জীবনে এতটাই ব্যস্ত হয়ে গেছি নামাজ পড়ার সময় পাইনা যেটা আমাদের করা উচিত না। কেননা এই পৃথিবীটা খুব অল্প সময়ের জন্য। এ পৃথিবী থেকে আমাদের একদিন চলে যেতে হবে চলে যাওয়ার পর একটা জীবন রয়েছে যেটা হল পরকাল পরকালের নামাজী একমাত্র আমাদের কাজে লাগবে। তাই আমরা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব।
নামাজ নিয়ে উক্তি
- আমি জান্নাতের চেয়ে নামাজকে বেশি ভালোবাসি । কারণ জান্নাতের সুখ আমার নিজের জন্য আর নামাজ আমার মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য। – হযরত আলী ( রাঃ)
- আল্লাহর যিকরে, সলাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না। – আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
- আল্লাহর শপথ! যদি আমি না খেয়ে সারাদিন রোযা রাখি, সারারাত না ঘুমিয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে থাকি, আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করি; এরপর যদি যারা আল্লাহকে মেনে চলেন এমন মানুষদের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা না রেখে এবং যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের প্রতি অন্তরে ঘৃণা না রেখে মারা যাই ; সেই কাজগুলো আমাকে একটুও উপকৃত করবে না। – আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
- মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও নামাজিদের মধ্যে কোন পর্দা থাকে না। – আল হাদিস
- সলাত জান্নাতের চাবিকাঠি। – হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
- আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে। – আল হাদিস
- আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। – সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩
- ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। – সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫
- হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন। – সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩
- সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে । আর আল্লাহ্র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। – সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮
- আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। – সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪
- নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও। – সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬
- সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। – সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১
- হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। – সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭
- ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন। – আল হাদিস
- নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়। – আল হাদিস
- কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন। – আল হাদিস
- কোন পাপের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা। – আল হাদিস
- সলাতের জন্যে অপেক্ষমাণ ব্যাক্তি সলাতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। – হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
- মানুষের ঈমান এবং শিরক ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য হলো সলাত পরিহার করা। – হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
- গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনগুলোতে সাওম পালন করা এবং রাতের বেলা সলাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া এই পৃথিবীর আর কোন কিছুকে ছেড়ে যেতে আমি দুঃখবোধ করি না। – আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
- ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম। সুতরাং, জেগে উঠুন এবং নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অহং (ইগো) থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন। – তারিক রামাদান