আমাদের ইসলাম ধর্মে নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা এবং সম্মান দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন মেয়ে শিশু বাবা মার জন্য বরকত এবং জান্নাত। হাদীস শরীফে আরো রয়েছে যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানকে সুশিক্ষিত এবং ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক হাদীতে পারবে সে এই পৃথিবীতে জান্নাত নিশ্চিত করে যাবে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষদের আলাদা দেখা হয়েছে। পুরুষরা তাদের চেহারা দেখাতে পারে কিন্তু ইসলামে কোন নারী তাহাদের চেহারা দেখাতে পারবেনা এমনকি তার হাত এবং পাও দেখাতে পারবেনা। কেননা ইসলামে নারীদের পর্দায় থাকতে বলা হয়েছে যাতে মানুষদের খারাপ নজর তাদের দিকে না পড়ে। নারী নিয়ে অনেকেই ইসলামিক উক্তি অনুসন্ধান করেন। তাই এই পোস্টে জানাবো নারী নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি।
ইসলামে নারীদের কাজ করতে মানা করা হয়নি। কিন্তু ইসলামে এটা বলে দেয়া হয়েছে, একজন নারী কাজ করতে পারবে সবটুকু শরীর চেহারা পর্দায় থাকতে হবে। শুধুমাত্র তার বাবা-মা এবং তার স্বামী ছাড়া আর অন্য কোন পর পুরুষ যাতে তার চেহারা বা চোখ না দেখতে পারে। তাহলেই একজন নারী কাজ করতে পারবে ইসলামের দৃষ্টিতে। মানুষ সামাজিক জীব জীবনে বেঁচে থাকতে কাজ করতে হবে। এজন্য ইসলামে নারীদেরকে কাজ করতে নিষিদ্ধ দেওয়া হয়নি। নারীরাও তাদের জীবনে পড়ালেখা করতে পারবে। একজন পুরুষদের মত নারীরা সব কিছুই করতে পারবে কিন্তু পুরুষরা সব জায়গায় যে হারা দেখাতে পারবে কিন্তু একজন নারী সেটা করতে পারবে না। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী এবং পুরুষের মধ্যে এটাই পার্থক্য।
নারী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
- দাড়ির সাথে পুরুষ এবং পর্দার সাথে নারী- এটা এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো সমন্বয়। – সংগৃহীত
- পর্দা হলো কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ। এটা ফ্যাশনের জন্য না পরে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের জন্য পরা উচিত। এটা মানুষকে দেখানোর জন্য না পরে বরং স্রষ্টার নৈকট্য পাবার জন্য পরা উচিত। – ইয়াসমিন অ্যামগেহেদ
- অনেক বোনই অভিযোগ করে- পুরুষরা তাদেরকে বিয়ে করতে চায় না যতক্ষণ না অবদি তারা হিজাব পরা ত্যাগ করে। এই পুরুষরা তোমাদের যোগ্য নয়। একজন প্রকৃত পুরুষ কখনোই হিজাব পরা ছাড়তে বলবে না। – ওমর সুলেমান
- পর্দা নারীর অহংকার। – ফাতিমা আল জাহরা
- যে নারী স্বগৃহ, স্বামীগৃহ, মায়ের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনো স্থানে পর্দা রাখে না সে তার ও তার রবের মধ্যকার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেয়। – হযরত মুহম্মদ (স)
- নারীর বেশ ধারী পুরুষের উপর অভিশাপ এবং পুরুষের বেশ ধারীণী নারীর উপর আল্লাহর অভিশাপ। – হযরত মুহম্মদ (স)
- আর তাই তাদের বক্ষদেশে পর্দা টানা উচিত। – আল-কুরআন
- পর্দার ভেতরে নারী ঝিনুকের ভেতর সুরক্ষিত মুক্তোর মতো। – সংগৃহীত
- সূর্য মেঘে ঢাকা থাকলে যেমন তার সৌন্দয হারায় না; তেমনি একজন নারী পর্দা করলে তার সৌন্দর্য কমে যায় না। – অ্যাঞ্জেলিনা জ্যোলি
- মুসলিম নারীদের কাছে হিজাব হচ্ছে একটি ক্ষমতা। – রান্দা আবদেল ফাত্তাহ
- তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের সাজ-সজ্জা প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। – আল- কুরআন
- আর আপনি ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে ও লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং যা প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের (অন্যান্য) আভরণ প্রকাশ না করে, তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন কাপড় (চাদর বা ওড়না) দ্বারা আবৃত করে। – আল- কুরআন
- তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের সাজ-সজ্জা প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। – আল- কুরআন
- হে পুরুষগণ! তোমরা নারীদের হতে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল হতে চাইবে। এ বিধান তোমাদের এবং তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র। – আল- কুরআন