সারাবিশ্বে পাখি দিবস পালন করা হয়ে থাকে কারণ পাখিদের থাকার বাসস্থান এখন ধ্বংসের মুখে পরিনত হয়েছে।আমাদের টিকে থাকতে হলে পশু এবং পাখি দুটোই থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে শিল্প কারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে এর ফলে পশু-পাখিদের বসবাসের স্থান প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে ভারসাম্য রক্ষার জন্য পশুপাখিদের সংরক্ষন করা খুবই প্রয়োজন। সেই নিয়ে বিশ্ব পাখি দিবস উক্তি ও বাণী নিয়ে কিছু কথা।
পুরো বিশ্বে পাখিদের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পাখির সচেতনতা তৈরি করার জন্য পাখি দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তারা তখন হয়ে ওঠেনি পরে ২০০৮ সাল থেকে পাখি দিবসের স্লোগান করে পাখি দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০০৮ সাল থেকে পাখি দিবস পালন করা হয় পুরো বিশ্বে আর এটি মে মাসে পালন করা হয়ে থাকে।
পাখি দিবস নিয়ে উক্তি
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখিদের থাকাটা কত প্রয়োজন তা বিখ্যাত মনীষীগণ তারা বলে গিয়েছেন।প্রকৃতিতে পাখিরা অনেক সৌন্দর্য। মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তার উপহার হল এই পাখি কারণ তারা অনেক সুন্দর এবং তারা আকাশে উড়ে বেড়ায় মানুষ সেটা পারে না। তাই পৃথিবীতে ভারসাম্য রক্ষা করা জন্য পাখির অনেক প্রয়োজন রয়েছে। পাখি দিবস নিয়ে কয়েকটি উক্তি।
- প্যান, তুমি আর কে। তিনি হুস্কার করে কেঁদেছিলেন আমি যৌবনের,আমি আনন্দিত,পিটার একটি উদ্যোগে উত্তর দিলেন, আমি ডিম থেকে ভেঙে আসা একটি ছোট্ট পাখি। – জে এম এম ব্যারি
- তিনি নিজেকে মুক্ত করতে, বাতাসে নাচতে, একটি নতুন ভাষা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পাখিরা তার চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে, আকাশে হ্যাঁ লিখছে। – মনিক ডুভাল
- পাখি দেখতে, নীরবতার অংশ হয়ে উঠতে হবে। – রবার্ট উইলসন লিন্ড
- পৃথিবীর অন্যতম একটি সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় পাখি যখন আকাশে উড়ে। – এইচ আর এস
পাখি দিবস নিয়ে বাণী
পাখির পালক এবং এরা ডানাযুক্ত একটি প্রাণী এরা সাধারণত উড়তে সক্ষম কারণ এদের ডানা রয়েছে। পাখিদের মধ্যে সচলতার ধরন রয়েছে কারণ এরা মুক্তভাবে উড়তে পারে। কিছু পাখি খাঁচা খাওয়ানো বোঝেনা। এদের পালকগুলি উজ্জ্বল তাদের গানগুলি খুব মধুর হয়ে থাকে। পাখিদের নিয়ে কয়েকটি বাণী নিচে দেওয়া হল।
- মানুষ পাখির মতো স্বাধীন হতে চায়, কিন্তু মানুষ পাখিদের মতো উদার হতে চায় না। – লেখক অজানা
- আমি কেবল একটি পাখি তার কথা জানি এটি কথা বলে এবং এটি খুব বেশি উড়তে পারে না। – উইলবার রাইট
- পাখিদের ডানা থাকে তারা মুক্ত তারা যখন যায় তখন উড়তে পারে,তাদের মধ্যে এক ধরনের গতিশীলতা রয়েছে যা অনেক ঈর্ষা করে। – রজার টরি পিটারসন
- পাখিরা পরিবেশের নির্দেশক। যদি তারা কোনো সমস্যায় পড়ে তবে এটা জানা উচিত যে আমরাও শীঘ্রই সমস্যায় পড়তে চলেছে। – রজার টরি পিটারসন
খাঁচার পাখি নিয়ে স্ট্যাটাস
মানুষ পাখির মতো স্বাধীন হতে চায় কিন্তু তারা উদার হতে চায় না ।পাখিদের দেখতে হলে নীরবতার প্রয়োজন কারণ তারা মধুর সুরে গান গায়। খাঁচার ভেতরে যে পাখি গুলো থাকে ভেতরে তাদের খাবার খাওয়ানোর জন্য যদি একটু বের করা হয় তারা ছুটে যেতে চায় কারণ তারা মুক্ত হতে চায়। পাখিরা উড়ে যাওয়ার কারণ হলো তারা মুক্তভাবে উড়তে পারে ডানা মেলে কিন্তু মানুষ সেটা পারেনা। খাঁচার পাখি নিয়ে কয়েকটি স্ট্যাটাস।
- কোন পাখি যদি তার নিজস্ব ধারণা দিয়ে উড়ে যায় তবে খুব বেশী উচু হয় না। – উইলিয়াম ব্লেক
- খাঁচা পাখি একে অপরকে গ্রহণ করে তবে তারা যা চায় তার জন্য উড়ন্ত। – টেনিসি উইলিয়ামস
- সৃষ্টিকর্তা পাখিকে ভালোবেসে বানিয়েছেন গাছ, আর মানুষ পাখিকে ভালোবেসে বানিয়েছেন খাঁচা। – জ্যাকুয়েস ডিভাল
- যখন মমতার সূর্য উদয় হয় অন্ধকার বাষ্পীভবন হয় এবং গাওয়া পাখি কোথাও থেকে আসে। – অমিত রায়
শেষ কথা
পাখিরা খোলা আকাশের দলবেঁধে উড়ে বেড়ায় এটা দেখে মানুষ অনেক খুশি হয়। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা পাখি কে পছন্দ করে না। অনেক মানুষ আছে পাখিকে ভালোবেসে নিজ বাসায় পালন করে থাকেন। কিন্তু এখন পাখিগুলো ধ্বংসের মুখে প্রায় কারণ পুরো বিশ্বে নানান শিল্প কারখানা হওয়ায় এতে পাখিদের অনেক ক্ষতি হয়। তাই পাখিদের বিলুপ্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আমরা বিশ্ব পাখি দিবস হিসেবে পালন করে থাকি। পাখিগুলো আমাদের দেশে খুব অল্প সময়ের জন্য অতিথি হয়ে এসে থাকে। তাই আমাদের সকলের উচিত অতিথিদের বাসতে দেওয়া। এজন্য পাখি দিবস পালন করা হয়ে থাকে।