রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি হচ্ছে রাঙ্গামাটি। ১৮৬০ সালে গঠিত হয় রাঙ্গামাটি জেলা। রাঙ্গামাটি জেলার আয়তন ৬,১১৬ বর্গ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা। এই জেলাটি একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এই জেলার সাথে ভারত ও মায়ানমার উভয় দেশের সীমান্ত রয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো অনেকেই জানেনা।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রাচীনকালে সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রকৃতিপ্রেমী, ভ্রমণ বিলাসীদের জন্য আদর্শ স্থান। কারণ রাঙ্গামাটি জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এ জেলার বৈচিত্র্যময় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে। যার কারণে এই জেলাটি ভ্রমণ বিলাসীদের জন্য আদর্শ। আজকের এই পোস্টে আপনাদের জানাবো রাঙামাটি জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম।
রাঙ্গামাটির ১০ টি উপজেলার নাম
- কাপ্তাই
- কাউখালী
- জুরাছড়ি
- নানিয়ারচর
- বরকল
- বাঘাইছড়ি
- বিলাইছড়ি
- রাঙ্গামাটি সদর
- রাজস্তলী
- লংগদু
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সব থেকে বড় জেলা হচ্ছে রাঙ্গামাটি। প্রাচীনকালের অনেক আভাস রয়েছে এই জেলার মধ্যে, এছাড়াও এই জেলার মধ্যে পাহাড় পর্বত, ঝরনা বন বনানী আরও বিভিন্ন রকম দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক জেলার মানুষ রয়েছে রাঙ্গামাটি জেলায় ভ্রমণ করতে যায় দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে। কিন্তু অনেক মানুষই আছে যারা জানে না রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম। তাই এই পোস্টে রাঙ্গামাটির কয়েকটি দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ঠেগামুখ
- হিল তাজ রিসোর্ট
- রিলিতে লেক
- তিনমুখ পিলার
- পলওয়েল পার্ক এন্ড কটেজ
- ফুরমোন পাহাড়
- আরণ্যক রিসোর্ট
- গাছকাটা ঝর্ণা
- ঘাগড়া ঝর্ণা
- জুরাছড়ি
- দুমলং পর্বত
- রঙরাং
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর বৈশিষ্ট্য
ঠেগামুখ
ঠেগামুখ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শেষ গ্রাম। গ্রামটি ভারতের সীমান্তের সাথে ঘেষা। ঠেগামুখ একটি প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনেক উপভোগ করা যায়। এখানে পাহাড়, নদী, জল ঝরা, এবং ঘাসের প্রদর্শনীয় সাননি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ হাওরের একটি অংশ। এখানে আসল হাওড় দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং শান্ত। আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং এখানে আদিবাসী জনগণের সাথে মিলে তাদের জীবনযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুভব করা যায়। প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য একটি আদর্শ স্থান, যেখানে ভ্রমণকারীরা নিজেদের সহজেই মনোনিবেশ করতে পারেন। ঠেগামুখ রাঙ্গামাটির একটি অদ্ভুত স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আদিবাসী সংস্কৃতির সমৃদ্ধির সাথে মিলে অসম্ভ্রান্তির অভিজ্ঞতা করা যায়।
হিল তাজ রিসোর্ট
রাঙ্গামাটির হিল তাজ রিসোর্ট একটি প্রস্তুতি পূর্ণ দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক শান্তি এবং মনোহর দৃশ্যের অভিজ্ঞতা করা যায়। হোটেলটি উচ্চতার একটি প্রস্তুতি এবং সম্পূর্ণ সৌন্দর্য দৃশ্য অফার করে। আকর্ষণমূলক হিলসাইডে অবস্থিত এই রিসোর্টে আপনি আদিবাসী সংস্কৃতির সাথে মিলে অপার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। রুমগুলি সুবিধামূলক এবং মডার্ন, এবং রেস্তোরাঁওয়ারে স্বাদপ্রয়োজনের সাথে সম্পূর্ণ।
রিলিতে লেক
রাঙ্গামাটির রিলি একটি আদর্শ পর্বতীয় জেলা, যেখানে প্রাকৃতিক শোভা এবং আদিবাসী সংস্কৃতির রূপরেখা মিলে যায়। হেমন্তকুমার দেবের প্রতিষ্ঠিত এই স্থানটি পাহাড়ি জঙ্গল, জলপথ, এবং আদিবাসী গোঠানের জন্য অধীনস্থ হয়ে থাকে। রিলির নদী, হাওড়, এবং আদিবাসী সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ভ্রমণকারীদের জনপ্রিয় করে তোলে।
তিনমুখ পিলার
রাঙ্গামাটির তিনমুখ পিলার একটি আদর্শ দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আদিবাসী সংস্কৃতি একসাথে মিলে আসে। এই স্থানটি অবস্থিত হলো সাজেক, রুমা, এবং নান্গখুম নদীর সঙ্গে মিলে একটি অবাক করা দৃশ্য তৈরি হয়। তিনমুখ পিলারে বিশাল পাহাড়, রঙ্গামাটির সংস্কৃতি, এবং অপার প্রাকৃতিক শোভা দেখতে পাওয়া যায়। বৃষ্টির প্রস্তুত মৌসুমে, তিনমুখ পিলার হোটেলে থাকা একক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
পলওয়েল পার্ক এন্ড কটেজ
রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্ক এন্ড কটেজ একটি প্রাকৃতিক রিট্রিট হোটেল, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য, অত্যন্ত শান্তি, এবং আদিবাসী সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা মিলে থাকে। হোটেলটি কাছাকাছি পাহাড়ি দক্ষিণ বিভাগের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে অবিচ্ছিন্ন। পলওয়েল পার্কে ভ্রমণকারীরা বৃষ্টির জলপথ, হাওড়, এবং আদিবাসী সংস্কৃতির সাথে মিলে আসে। হোটেলে কটেজগুলি সুবিধামূলক এবং আধুনিক, এবং রেস্তোরাঁ প্রশান্ত এবং স্বাদপ্রয়োজনের সম্পূর্ণ প্যাকেজ দেয়।
ফুরমোন পাহাড়
রাঙ্গামাটির ফুরমোন পাহাড় এন্ড কটেজ একটি অদ্ভুত পর্বতীয় অঞ্চল, যেখানে প্রাকৃতিক শোভা এবং শান্তিতে আবৃত আছে। ফুরমোন পাহাড়ে অবস্থিত এই কটেজগুলি প্রকৃতির কাছে অত্যন্ত অমিল। এখানে আপনি সহজেই পাহাড়ের সৌন্দর্যে আবৃত হয়ে থাকতে পারেন এবং প্রাকৃতিক জলঝরা, নদী, এবং বন্যপ্রাণী দেখতে পারেন। কটেজগুলি সুবিধামূলক এবং মডার্ন, এবং রেস্তোরাঁ বানানো হয়েছে স্বাদপ্রয়োজনের সাথে সম্পূর্ণ।
আরণ্যক রিসোর্ট
রাঙ্গামাটির আরণ্যক রিসোর্ট একটি প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত একটি দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রবাসী পাহাড়ি শান্তি, এবং সুস্বাদু বিশেষ খাদ্যের সাথে মিলে যায়। রিসোর্টটি উচ্চতার একটি স্থানে অবস্থিত, এবং প্রাকৃতিক শোভা এবং আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে থাকে। এখানে সুবিধামূলক কটেজগুলি রয়েছে যারা অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিজ্ঞতা করতে চান। রেস্তোরাঁ স্থানীয় খাদ্যের বৈচিত্র্য দেখাচ্ছে।
গাছকাটা ঝর্ণা
রাঙ্গামাটির গাছকাটা ঝর্ণা একটি অসাধারণ দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক শোভা এবং জলপথের মিলন অত্যন্ত মহৎ। ঝর্ণাটি বৃষ্টির জলপথ হওয়ার সময় অত্যন্ত প্রস্তুতি ধারণ করে, সুদৃশ্য সৃষ্টি করে। গাছকাটা ঝর্ণার নীচে অবস্থিত প্রাকৃতিক আবাস, বন্যপ্রাণীর চিরকুট হিসেবে এখানকার বৈশিষ্ট্য বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি পৌরাণিক এবং শান্ত অভিজ্ঞতা দেয়।
ঘাগড়া ঝর্ণা
রাঙ্গামাটির ঘাগড়া ঝর্ণা একটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জলপথের সৌন্দর্য একসাথে মিলে থাকে। ঝর্ণাটি বৃষ্টির প্রস্তুত হওয়ার সময় বিশেষভাবে চমকে উঠে এবং একটি দৃশ্যমান শোভা তৈরি করে। ঘাগড়া ঝর্ণা একজন ভ্রমণকারীকে প্রাকৃতিক শান্তি এবং রিফ্রেশমেন্ট অভিজ্ঞতা করার জন্য একটি আদর্শ স্থান। সুতরাং, এটি পর্যটকদের মাঝে খোলা রাখা হোক।
জুরাছড়ি
রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি একটি অসাধারণ দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রকৃতির অপরিসীম সৌন্দর্য এবং আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে আসে। এখানে বৃষ্টির সময় নদী, হাওড়, এবং পাহাড়ি এলাকার সুস্থ প্রদর্শনীয় স্থানের অভিজ্ঞতা করা যায়। জুরাছড়ি হাইকিং এর জন্য একটি আদর্শ স্থান, এবং ভ্রমণকারীরা এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিজ্ঞতা পাচ্ছে এবং স্থানীয় আদিবাসী জীবনযাত্রার সাথে মিলে থাকতে পারে। জুরাছড়ি প্রকৃতির অদূরে থাকা শান্তিপূর্ণ একটি আকর্ষণ।
দুমলং পর্বত
রাঙ্গামাটির দুমলং পর্বত একটি অপরিসীম দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তির মিলন অত্যন্ত স্বার্থস্য অভিজ্ঞতা করা যায়। দুমলং পর্বত প্রাকৃতিক প্রদর্শনীয় রাঙ্গামাটির অবস্থানের জনপ্রিয় স্থান, যেখানে আপনি পাহাড়ি হাইকিং, শিলায়াচিলা অভিজ্ঞতা এবং প্রাকৃতিক জলঝরার সাথে মিলে আসতে পারেন। দুমলং একটি প্রাকৃতিক অদৃশ্য মানব নির্মিত দরজা হিসেবে পরিচিত, যা একটি বৃহত্তর বন্ধ কৃষ্ণচূড়ার সাথে মিলে থাকে। এটি একটি আদর্শ স্থান যেখানে আপনি প্রাকৃতিক শোভা এবং পাহাড়ি পর্বতের অভিজ্ঞতা করতে পারেন।
রঙরাং
রাঙ্গামাটির রঙরাং একটি দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আদিবাসী সংস্কৃতির সম্পর্কে মিলে থাকে। এটি হিলসাইডে অবস্থিত, এবং অপার দৃশ্যমান রঙময় পাহাড়িতে পূর্ববাঙ্গার অদ্ভুত সৌন্দর্য প্রদর্শন করে। রঙরাং প্রধানভাবে হাইকিং এবং নেচার ওবজারভেশনের জন্য প্রসিদ্ধ, এবং ভ্রমণকারীরা এখানে শান্তিপূর্ণ মহৎ প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। বৃষ্টির সময়ে এই স্থানটি অত্যন্ত চমকময় হয়ে উঠে এবং দূরদরাজে থাকা সৌন্দর্যের জন্য প্রস্তুত থাকে। স্থানীয় আদিবাসী কল্চর, বৃষ্টির বোঝাই এবং অমিল বাতাসে ভ্রমণকারীদের এক অদভুত অভিজ্ঞতা দেয়।
রাঙ্গামাটি জেলা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
- ১৮৬০ সালে রাঙ্গামাটি জেলা গঠিত হয়।
- রাঙ্গামাটি জেলার আয়তন ৬,১১৬ বর্গ কিলোমিটার।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা রাঙ্গামাটি।
- রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের একমাত্র জেলা, যার সাথে ভারত ও মিয়ানমার দুটি দেশেরই আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে।
- রাঙ্গামাটি জেলার রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম বাঁধ ও একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত।
- রাঙ্গামাটি জেলায় রয়েছে চাকমা রাজা। চাকমা রাজা হলেন নিয়মতান্ত্রিক চাকমা সার্কেল চিফ।
- রাঙ্গামাটি জেলার প্রধান নদ নদী গুলো হল কর্ণফুলী নদী, চেঙ্গী নদী, মাইনী নদী, ঠেগা নদী, শোলক নদী এবং ফেনী নদী।
- রাঙ্গামাটি জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়ক।
- রাঙ্গামাটি জেলার উপজেলা সংখ্যা ১০ টি।
- রাঙ্গামাটি জেলার পৌরসভার সংখ্যা ২ টি।
- রাঙ্গামাটি জেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ৫০ টি।
- রাঙ্গামাটি জেলার থানা ১২ টি।
- সংসদীয় আসন সংখ্যা ১ টি।
সর্বশেষ কথা
রাঙ্গামাটিতে আরও এরকম অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে আমরা আজকের এই পোস্টে কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনারা রাঙ্গামাটির কয়েকটি দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম এবং তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।