আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য। শুধু তাই নয় এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা একটা রিজিক দিয়েছেন। এই পৃথিবীতে কারো রিজিক অনেক বেশি আবার কারো রিজিক কম। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের রিযিক নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। যে বান্দা আল্লাহ তায়ালার এবাদত এবং বন্দেগী করবে সে সবসময় রিজিক বেশি পাবে। আর যে আল্লাহ তায়ালার এবাদত করবে না নামাজ পড়বেনা সে কখনোই রিজিকের অধিকারী হতে পারবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন জমিনে বিচরণকারী যত প্রাণী আছে সবার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলার কাছে। রিজিক মানে শুধু সামগ্রী নয় রিজিক মানে জীবনের উপকরণের সবকিছু জীবন কিভাবে চলছে আমরা জীবনে কি করছি এগুলোও রিজিকের মধ্যেই পড়ে। রিজিক নিয়ে অনেকেই অনলাইনে উক্তি অনুসন্ধান করেন। তাই আজকের এই পোস্টে জানাবো রিজিক নিয়ে কিছু উক্তি।
জীবনে চলার পথে আমরা অনেক মানুষই দেখি কারো রিজিক অনেক বেশি কারো রিজিক অনেক কম। রিজিক কমবেশি কেন হয়? কেউ পায় কম আবার কেউ পায় বেশি। আল্লাহ তায়ালা রিজিকের কথাও পবিত্র কোরআন মাজিদে উল্লেখ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা যদি তার সব বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন তাহলে সারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি নেমে আসতো। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ রিযিক সে পরিমাণ অবতীর্ণ করেন একটা মানুষের উপর। এই পৃথিবীতে একটা মানুষের চলার জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই আল্লাহ তাআলা সে বান্দাকে দান করেন। এছাড়াও এই পৃথিবীতে কর্মের মাধ্যমেও একটা মানুষের রিযিক নির্ধারণ হয়। আপনি যদি ভালো কর্ম করেন তাহলে অবশ্যই আপনার রিযিক অনেক বেশি হবে আর যদি খারাপ কর্ম করেন তাহলে অবশ্যই আপনার রিজেক্ট অনেক কম হবে। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে আল্লাহর এবাদত এবং বন্দেগী করুন।
রিজিক নিয়ে উক্তি
- কার রিজিক কোথায় রয়েছে তা একমাত্র মহান আল্লাহ্ ব্যতিত কেউ জানেন না। – আব্রাহাম ইলাহি
- মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “আকাশে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু। – সুরা জারিয়াত: ২২
- হালাল অর্থ উপার্জন করে রিজিক গ্রহণের মধ্যে এক প্রকার শান্তি রয়েছে, যা হারাম অর্থ উপার্জন করে গ্রহণের মাঝে নেই। – মানাহিল আইমা
- তোমরা আল্লাহর কাছে রিজিক তালাশ কর, তার ইবাদত কর এবং তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তারই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে। – সুরা আনকাবুত : আয়াত ১৭
- তোমার যতই অর্থ থাকুক না কেন তুমি তখনই রিজিক গ্রহণ করতে পারবে যখন মহান আল্লাহ্ তায়ালা চাইবেন। – ইব্রাহিম বিন খালিদ
- হারাম রিজিক গ্রহণ করে আমরা উপকৃত হইনা বলেই মহান আল্লাহ্ তায়ালা তা আমাদের জন্য হারাম করেছেন। – নুরা আল আজিজ
- মহান আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু, যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী। – সুরা শুরা: আয়াত ১৯
- মহান আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন তার রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং এবং যার প্রতি অসন্তুষ্ট হন তার রিজিক সংকুচিত করেন। – (সূরা আর-রাদ: ২৬)
- পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আমার (মহান আল্লাহ্ তায়ালার)। – (সূরা হুদ, আয়াত ৬)
- তুমি যখন একজন গরিব-মিসকিনকে খাবার দান করবে, আল্লাহ্ তায়ালা তোমার রিজিককে পবিত্র করে দিবেন। – মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)
- রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালা, আমরা সকলে রিজিকের জন্য একমাত্র তার নিকট প্রার্থনা করবো। – মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)
- রিজিক অর্জনের জন্য শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ বন্ধ করে বসে থাকলে হবেনা, আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। – আবুল মিশকাত
- রিজিক মহান আল্লাহ তা’য়ালা কর্তৃক বড় নেয়ামত৷ আল্লাহ্ প্রদত্ত রিজিক প্রতিটি প্রাণী ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রাপ্ত হয়ে থাকে ৷ – (সূরা হুদ)
- আপনার রিজিক আপনার কষ্টের মাধ্যমেই উপার্জন করে নিতে হবে, আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে পথ দেখাবেন মাত্র। – সালমান বিন আবদুল আজিজ
- সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে শেখো, তিনি তোমার রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, তিনি তোমাকে নিরাশ করবেন না। – মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)