১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বাঙালির প্রতীক্ষার অবসান এর দিন, শৃংখল মুক্তির দিন। এদিনে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয় যুদ্ধের পর এই দিনে আমাদের প্রিয় স্বদেশ দখলদারমুক্ত হয়েছিল। মুক্তিকামী জাতির কাছে এ দিনটি ছিল অনেক প্রতীক্ষিত একটি দিন। আজও বাঙালি জাতি অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে গেলেই ফিরে যায় সেই দিনটির কাছে। তাই জাতীয় জীবনে বিজয় দিবসের আছে সুগভীর তাৎপর্য। বিজয় দিবস নিয়ে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা উক্তি, বাণী ও ছন্দ বলে গিয়েছেন। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বিজয় দিবস নিয়ে উক্তি
- বিজয় তাদের অন্তর্ভুক্ত যার আইডি সে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে। – রান্ডাল ওয়ালেস
- সহিংসতার ধারা বিজয় অর্জন খানিকক্ষণের জন্য অপরাজয় সমতুল্য। – মহাত্মা গান্ধী
- যে ব্যক্তি লড়াই বন্ধ করতে অস্বীকার করে তার পক্ষে সর্বদা বিজয় সম্ভব হয়। – নেপোলিয়ন এর
- বিজয় হলো সমস্ত স্বপ্ন, যা আপনার স্বপ্ন অর্জনে চলেছে তার স্বীকৃতি দেওয়া। – টমি হিলফিগার
বাংলাদেশকে আমরা যারা ভালোবাসে তারা প্রত্যেকেই জানি বিজয় দিবস সম্পর্কে। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে অবিভক্ত ভারতবর্ষ ভেঙে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিজাতি তত্বের ওপর ভিত্তি করে আমাদের পূর্ব বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের নাম নিয়ে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকেই পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের সাধারন জনগনের উপর অনেক অত্যাচার করে। এরপর তাদের সাথে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ হওয়ার পর ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ এবং ভারত এর কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীরা আত্মসমর্পণ করে। তখন থেকেই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয় আমাদের দেশে। বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিরা অনেক উক্তি রেখে গেছেন যেগুলো আমরা উপরে জানাতে চেষ্টা করেছি।
বিজয় দিবস নিয়ে বাণী
- বিজয় সবচেয়ে ধৈর্যশীল। – নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
- সমস্ত বিজয়ের গোপনীয়তা অপরিবর্তিতদের সংগঠনে থাকে। – মার্কাস অরেলিয়াস
- বিজয় কেবল তাদের তৈরীর জন্য আসে, এবং এটি গ্রহণের জন্য। – টম ক্ল্যান্সি
- সর্বোত্তম বিষয় হলো প্রতিপক্ষ যখন সত্তিকারের শত্রুতা হওয়ার আগে তার নিজের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করে। – সান তজু
- বিজয় যখন আরো বেশি অর্থবহ হয় তখন তাকে বলে একজনের কাছ থেকে আসে না অনেকের সম্মিলিত সাফল্য থেকে আসে। – হাওয়ার্ড শুল্টবাজ
যুক্ত জয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা পেয়েছে। ভূখন্ড পেয়েছে বলে জাতি সফল হয়েছে ধরে নেওয়া যায় না বরং এ বিজয়ের আসে সুদূর প্রসারী তাৎপর্য। কারণ এই বিজয় দিবসের দিনটিতে আমাদের বাঙালি জাতি একটি মানচিত্র পায় বাংলাদেশের। সারা বিশ্বের মধ্যে সার্বভৌম রাষ্ট্র নামে পরিচিতি লাভ করে। স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল বলে জাতির মেধাবী সন্তানরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে বিজয় লাভ করেছি বলেই আমাদের নিজ ভাসানীর সংস্কৃতি পালন করতে পারছি। বিশ্বে আজ বাংলাদেশে তার বাঙালি জাতি এখন অচেনা নয় বরং বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার কাজে দেশের আছে গৌরবময় অবদান। বিজয় দিবস নিয়ে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাদের বানিয়ে রেখে গিয়েছেন। যেগুলো এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বিজয় দিবস নিয়ে ছন্দ
- ভয় কে করিয়া জয় বিজয়ীরা বিজয়ী হয়।
- বিজিতের বেশে বিজয়ী যারা বীরের বেশে অমর হয় তারা।
- আর্তনাদ আর কান্নার রোল ভুলে, আনন্দ বাজিছে বিজয়ের হলে।
- নাদ বেজে যায়, আকাশের গায়, নবজন্মের সূচনা বিজয় উল্লাসে পাই।
- বিজয় মানে উল্লাস, বিজয় মানে চেতনা, বিজয় মানে নতুন করে, নতুন প্রজন্মের সূচনা।
- রক্তের বিনিময়ে নয়, নয় মৃত্যুর বিনিময়ে, বিজয় এসেছে সাহসের জোরে দৃঢ়সংকল্প শুধু মনে।
বিজয় দিবস হচ্ছে বাংলাদেশের একটি গৌরবের দিন আনন্দের দিন এবং উচ্ছ্বাসের দিন। বাঙালি জাতির এ-আনন্দের দিনটি নানাভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে। সেদিন বাঙালিরা মিলিত হয় প্রাণের মেলায়। দেশের সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওড়ে আমাদের লাল সবুজের পতাকা। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। বিজয় দিবসের এই দিনটি পালন করা হয় ১৬ই ডিসেম্বর। কততম বিজয় দিবস ২০২২ সালের। বিজয় দিবস নিয়ে মানুষের মনে থাকে সবসময় আনন্দে ভরা। এই দিবসটি ডিসেম্বর মাসে পালন করা হয়। বিজয় দিবস নিয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে তার কিছু আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
শেষ কথা
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক নাগরিককে এই ১৬ই ডিসেম্বরের এই দিনটিতে উপস্থিত হওয়া উচিত। আজ আমরা স্বাধীন ভাবে চলতে পার দেশি এই দিনটির জন্যই। তাই প্রত্যেকেরই উচিত এই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানানো। আপনারা অনেকেই আছেন বিজয় দিবস কে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিভিন্ন রকমের উক্তি ও বাণী খুঁজে থাকেন। এখান থেকে আপনারা উক্তি ও বাণী কপি করতে পারেন।