২৬ শে মার্চ প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। কারণ এই দিনেই আমরা আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম। তাই প্রত্যেকটা বাঙালি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ শহীদ ২ লক্ষ মা ও বোনের সম্ভ্রম হারিয়েছে। তাই স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের জনগণের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যময়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে এখন। কিন্তু এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে রয়েছে সুদীর্ঘ রক্ত ঝরা ইতিহাস। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। তাই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে বাঙালিরা পূর্ব পাকিস্তান লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাদের শাসন শোষণ ও বঞ্চনার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্থানের একটি উপনিবেশে পরিণত করে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন রকম ভাবে শোষণ করা শুরু করে। এবং এর প্রথম আঘাত হানে আমাদের সংস্কৃতির ওপর। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মানুষ স্বাধিকার আন্দোলনে স্বেচ্ছায় হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন তারপর অনুষ্ঠিত হয় ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ৬৬ সালের ৬ দফা ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন লাভ করে। বাংলাদেশের অনেক মানুষই রয়েছে যারা এখনো জানেনা ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়। তাই আজকের এই পোস্টে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।