একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প-কারখানা অথবা ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং থেকে লোন নেওয়া টা খুব প্রয়োজন। বর্তমানে গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা নিজেরা উদ্যোক্তা হতে চান। উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প-কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হয় তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। একসময় এমন উদ্যোক্তা রয়েছে যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো নিয়ম-কানুন না জানার কারণে তাদের পরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাবেন।
উদ্যোক্তা লোন কত টাকা পাওয়া যায়
- করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ পর্যন্ত ঋণ পাবেন।
- আপনি যদি ঋণ করেন তাহলে সুদের হার হবে ৪ শতাংশ।
- এই টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে ২ বছরে ২৪ কিস্তির মাধ্যমে যারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
- সরকারের দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
আমরা যারা উদ্যোক্তা লোন নিতে চাই তারা অনেকেই বুঝি না যে উদ্যোক্তা লোন কত টাকা সর্বোচ্চ উঠাতে পারবো। এগুলো না জানার কারণে আমাদের পরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এখন বেশিরভাগ মানুষই উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প-কারখানার ব্যবসা করতে চাই এজন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। তাই তাদের লোন উঠাতে হয়। এখানে আমরা জানিয়েছি আপনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যদি নেন তাহলে আপনি কত টাকা সর্বোচ্চ ঋণ উঠাতে পারবেন।
উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য আবেদন
- উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে তফসিলী ব্যাংক এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
- দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক থেকে এই তহবিল হতে ঋণ নিতে পারবেন।
- বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের অংশগ্রহণে চুক্তি করতে হবে, যেসব ব্যাংক একাউন্টের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে চাই।
- এই ঋণ পেতে হলে একজন উদ্দ্যোক্তাকে প্রকল্পের যাবতীয় বিবরণী বিস্তারিত তথ্য জেনে ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট তহবিল তফসিলি ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।
- যদি আপনার আবেদন দেখেবেন সন্তুষ্ট হয় তাহলে আপনার ঋণ এর পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
আপনারা যারা উদ্যোক্তা লোন পেতে যাচ্ছেন তাদের কিছু কাজ করতে হবে। যারা উদ্যোক্তা লোন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে। এখন অনেকেই জানেন না এই উদ্যোক্তা লোন পেতে কোথায় কিভাবে আবেদন করবে। এটা যারা জানে না তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পরে। তাই এখানে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি উদ্যোক্তা লোন পেতে হলে আপনি কোথায় আবেদন কিভাবে আবেদন করতে পারবেন।
উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার যোগ্যতা
- উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- যারা ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণ এর মূল সনদ সনদ জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- যদি আপনার কারিগরি শিক্ষার সনদ না থাকে তাহলে উদ্যোক্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোগতার পরিচালনার সক্ষমতা থাকতে হবে।
- উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য আপনার নির্ধারিত একটি বয়স থাকতে হবে বয়সসীমা হলো ২১ বছর থেকে ৪৫ বছর।
এখন আপনি অনলাইন মোবাইল লোন অথবা প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন সেখান থেকেও আপনি ঋণ নিতে পারবেন। আমাদের মাঝে অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে লোন নিতে চায়। আপনারা যদি উদ্যোক্তার জন্য লোন নেন তাহলে আপনি তহবিল ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। এখান থেকে লোন নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার জন্য আপনার যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন হবে। অনেকেই জানেননা উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য যোগ্যতা কি কি লাগবে বিস্তারিত এখানে জানাতে চেষ্টা করেছি।
শেষ কথা
উদ্যোক্তা লোন পেতে হলে আপনি তহবিল ব্যাংকের মাধ্যমে লোন পেতে পারেন। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ দেওয়া হয়। তাই আপনাদের আজকের এই পোস্টে উদ্যোক্তা লোন পাওয়া যায় কিভাবে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনারা সেই তথ্যগুলো পেয়েছেন। ব্যাংক এবং লোন সম্পর্কিত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।