জন্মদিন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি,স্ট্যাটাস

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিজ্ঞা ছিল বাঙালি জাতির সার্বিক বৃদ্ধি। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি বার বার মৃত্যুর  মুখে পরিচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মৃত্যুভয় কখনো থেমে থাকেননি সংগ্রাম করে গেছেন অবিচর। ১৭ই মার্চ এ মহানায়কের জন্মদিন। কখনো কি আমাদের মনে হয়েছে যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  জন্মদিন কিভাবে পালন করতেন আর এই বিশেষ দিনটি। জন্মদিন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি রয়েছে অনেক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন নিয়ে যেমনটা ভাবতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ১৯৭১ সালের  মার্চে যখন দেশ উত্তাল তখন বঙ্গবন্ধুর ৫২ তম জন্মদিনে সাংবাদিকরা ৩২ নম্বরে  তার বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এর প্রসঙ্গ তোলেন। জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। যে জাতি অনাহারে দিন কাটায় তাদেরকে কথায় কথায়  গুলি করে হত্যা করা হয় সে জাতি হিসেবে আমি আমার জন্মদিন পালন করি না।

জন্মদিন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক পিতা কৃষক-শ্রমিক বৃদ্ধ শিশু গরিব দুঃখীর মিতা ছিলেন। সেই ছেলেটি বিশ্বজয়ী টুঙ্গিপাড়ার ছেলে হাজার বছর খুঁজলে তবে এমন ছেলে মিলে। শেখ মুজিবের জন্য আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর জন্মদিন সে নিজে কোন দিন পালন করতেন না। বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি উক্তি নিচে দেওয়া হলো।

  • আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করিনা। এই দুখিনির বাংলায় আমার জন্মদিনে কি আর মৃত্যু তিনি বা কি।  – শেখ মুজিবুর রহমান
  • বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সাহসী নেতা ছিলেন। – প্রণব মুখার্জি
  • আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। – ইয়াসির আরাফাত
  •  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার  সংগ্রামের প্রথম শহীদ, তাই তিনি ওমর। – সাদ্দাম হোসেন

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন বেশিরভাগ কেটেছে কারাগারে। পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময় কাটিয়েছেন। তিনি তার জীবনের প্রায় চার হাজার ৬৮২ দিন জেলে কাটিয়েছেন। এসময় ৮টি জন্মদিন তার কেটেছে কারাগারে। এর মধ্যে সর্বপ্রথম ১৯৫০ সালে তার ৩১ তম জন্মদিন কাটাতে হয় কারাগারে।

  • আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনি  হিমালয়। – ফিদেল কাস্ত্রো
  • শেখ মুজিবুর রহমান বিয়েতনামে জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। – কেনেথা কাউন্ডা
  •   বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশি শুধু এতিম হয়নি  বিশ্ববাসী  হারিয়েছে একজন মহান নেতা। -জেমসলমান্ড

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে বক্তব্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সে নিজে বলেন আমি আমার জন্মদিনে মোমবাতি এবং কেক কাটিনা। কারন আমার দেশের মানুষকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় তখন আমার জন্মদিনে বা কি মৃত্যুদিনে বা কি। আর বাংলাদেশের  এর স্বাধীনতার জন্য সে মৃত্যুর কোলে অনেকবার বলে পড়েছেন কিন্তু তাকে দমন করতে পারেনি কেউ। জীবন দশায় জন্মদিন পালন করা খুব একটা সুযোগ পাননি শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বয়ে বেড়ানোর সর্বকালের সেরা বাঙালি বেশিরভাগ জন্মদিন কেটেছিল কারাগারে।

শেষ কথা

বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনি জন্মেছিলেন যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মই হতো না।আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদের দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন এবং আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছন। এজন্য ১৭ই মার্চ  বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতা আদর্শ থেকে দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে।