পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি

পদ্মা নদীর মাঝির উপন্যাস সর্বপ্রথম আলোচনা করে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একজন ভারতীয় লেখক এবং সাহিত্যিক ছিলেন। তার নাম হচ্ছে প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সে তার রচনায় মধ্যবিত্ত সমাজ এবং শ্রমজীবী মানুষকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতেন। সে অনেকগুলো উপন্যাস প্রকাশ করেছে তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস।এ উপন্যাস ১৯৩৬ সালে গ্রহণ থাকার প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতীয় অন্যান্য সর্ব উপন্যাসের থেকে এটা অনেক গৌরব অর্জন করে।পদ্মা নদীর মাঝি এই উপন্যাসটিকে জেলেদের সুখ-দুঃখ নিয়ে আলোচনা করেছেন। পদ্মা নদীর মাঝি নিয়ে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে যেগুলো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি

  • ঘরের লক্ষ্মী যেন চলিয়া গেছে কপিলার সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুধার নিবৃত্তি আর হইতেছে না।  –  ঘরের লক্ষ্মী কপিলা
  • পাপ মাইখা মরিস কেনে কপিলা? মাইনসে কইব কি ? যা বাড়ি যা।  –  কপিলাকে কুবের এর উক্তি
  • দুষ্ট কইরে। মাঝি শাইপো- কিন্তু এই কথাডা কইও দিদিরে। মাথা খাও মাঝি কইও।  –  কপিলার উক্তি
  • গরীবের মধ্যে সে গরীব, ছোটলোকের মধ্যে আরও বেশি ছোটলোক।  –  কুবেরকে উদ্দেশ্য করে
  • একটু জিরাইগো আজান খুড়া।  –  কুবেরের উক্তি
  • ঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্রপল্লীতে, এইখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।  –  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেদোক্তি
  • সাঁঝের দরটা জিগা দেখি কুবের।  –  ধনঞ্জয়ের উক্তি
  • মনে মনে সকলেই যাহা জানে মুখ ফুটিয়া তাহা বলিবার অধিকার তাহার নাই।  –  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিতদের সম্পর্কে
  • একখানা গীত ক দেখি কুবির।  –  গণেশের এই মিনতি
  • শ্যাষ রাইতে তর বৌর ছাওয়াল হইছে কুবির।  –  নকুলের উক্তি
  • চুপ যা গণেশ। পোলা দিয়ে করম কি? নিজেগোর খাওনা জোটেনা পোলা!  –  কুবেরের উক্তি
  • পোলা হইব কই নাই কুবির ? কইনাই এইবার তোর পোলা না হইয়া যায় না?  –  গণেশের কথা
  • ক্যান কমু জ্যাঠা? বজ্জাতটা আমারে যা মুখে লয় কয়না?  –  নকুল সম্পর্কে, গোপী
  • তোমাগো দেইখা মুখে রাও সরে না, কতকাল পরে ফিরে আলাম।  –  রাসু, কুবেরকে উদ্দেশ্য করে
  • গরীব বইলা চাল কর্জ না দেওনের মত গরীব আমি না, জাইনা থুইস।  –  গণেশকে, কুবের বললো
  • তা শুইনা তোর কাম কি ? মাইয়া লোক চুপ মাইরা থাক।  –  মালাকে, কুবের বললো
  • মনের ক্রিয়াগুলি তার অত্যন্ত শ্লথ গতিতে সম্পন্ন হয়। সে কোন কথা বলিলে লোকে যে তাহাকে অবহেলা করিয়াই কথা কানে তোরে না এটুকুও সে বুঝিতে পারে না।  –  গণেশ সম্পর্কে এখানে বলা হয়েছে
  • নদীতে শুধু জলের স্রোত। জলে-স্থলে মানুষের অবিরাম জীবনপ্রবাহ।  –  পদ্মার ঘাট সম্পর্কে
  • যে যাহারে ভালবাসে সে তাহারে পায় না।  –  গণেশের গানের কথা
  • নাই কিরে নাই ? রোজ আমারে মাছ দেওনের কথা না তর?  –  শীতল, কুবেরকে উদ্দেশ্য করে
  • কতটি মাছ হইল আজান খুড়া ? শ‘চারের কম না অ্যা?  –  কুবেরের উক্তি
  • তিনডা মাছ আইজ তুই দে কুবের। অমন করস ক্যান?” পয়সা নয় কয়ডা বেশিই লইস, আই?  –  কুবেরকে, শীতল বললো