সারা বিশ্বে মুসলমানদের একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদ। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান এই ঈদ উদযাপন করে থাকে। মুসলমানদের জন্য প্রতিবছর দুইবার ঈদ হয়। তার মধ্যে একটি হল ঈদুল ফিতর ও আরেকটি ঈদুল আযহা।ঈদুল আযহা হলো আরবি শব্দ এর অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। কারণ ঈদুল আযাহার ওই দিনে মানুষ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য গরু, ছাগল কোরবানি দিয়ে থাকে। ঈদ হল আরবি শব্দ, এর অর্থ হল খুশি আনন্দ।আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কোরবানির নিয়ে উক্তি, বাণী ও স্ট্যাটাস জানব।
কোরবানির ঈদ জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে উদযাপিত হয়। মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য এই দিনে পশু জবেহ করা হয়। কিন্তু মুসলমানদের মূল উদ্দেশ্য পশু জবাই দেওয়া নয় বরং তা শুধু প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা। কোরবানির ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি মহান আল্লাহ তায়ালা স্বপ্নের মাধ্যমে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে তার প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দেন। হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম তার প্রানপ্রিয় পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালাম কোরবানি দিতে উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহতায়ালা এদের মনোবল অটুট দেখে ইসমাইল এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি দেওয়ার নির্দেশ করেন।
কোরবানি নিয়ে উক্তি
কোরবানি অর্থ হচ্ছে তার প্রিয় জিনিসটিকে আল্লাহর নামে ত্যাগ করে দেওয়া। কোরবানির ঈদ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে থাকে অনেক উদযাপন। এই ঈদে মানুষ পশু জবাই করে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করে। কোরবানির ঈদে মানুষ সকালবেলায় নামাজ পড়ে তারপর পশু জবাই করার অনুষ্ঠান শুরু করে। পশু জবাই করার পর নিজের জন্য এক ভাগ রেখে বাকি পশুর মাংস দারিদ্র দের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। আজকে আমরা কোরবানি নিয়ে উক্তি জানব।
- কোরবানি মানেই হল ত্যাগ। – আলী আহা
- মমিনের আত্মত্যাগ পশুর প্রাণ ত্যাগ। – সংগৃহীত
- ঈশ্বরকে খুশি করার স্বার্থে আত্মত্যাগের মহান ব্রত নিয়ে মুমিনরা পশু কোরবানী করে থাকে। – সংগৃহীত
- দিন নাকো পশু কোরবানি বিফল হবে শেষ সবখানি মনের পশুরে কর জবাই পশুরাও বাঁচে বাঁচে সবাই। – কাজী নজরুল ইসলাম
কোরবানি নিয়ে বাণী
সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাদের সামর্থ রয়েছে তাদের জন্য কোরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে। কোরবানি পালিত হয়ে আসছে সেই আদম আলাই সাল্লাম থেকে সব নবীর যুগে। কোরবানির মাধ্যমে ইসলামের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এছাড়াও কোরবানির মাধ্যমে গরিব-দুঃখীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালা এটাও নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষুদ বিশিষ্ট পশু কোরবানি না দেওয়া। কারণ ক্ষুদ বিশিষ্ট পশু কোরবানি দেওয়া বৈধ নয় ইসলামের আলোকে। তাই আমরা কোরবানি আদায়ের সকল বিধান মেনে চলবো।
- দশই জিলহজ্বে প্রতিবছর কুরবানী হয় শত সহস্রু পশু। – এম এম মামুনুর রশিদ
- একে একে তিনবার ইব্রাহিম নবী সম্মুখীন হলেন মহা পরীক্ষার। – এম এম মামুনুর রশিদ
- একই পরিবারের সব সদস্য পৃথক পৃথকভাবে নিসাবের মালিক হলে সবার ওপর আলাদাভাবে কোরবানি ওয়াজিব। – সংগৃহীত
- কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই কোরবানিদাতার কোরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় এবং তার অতীতের সব গুনাহ মোচন করে দেয়। – ( তিরমিজি শরীফ ১/১৮০)
কোরবানি নিয়ে স্ট্যাটাস
কোরবানির ঈদ হল মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই সময় সকলের বিভিন্নভাবে ঈদের আনন্দ প্রকাশ করে থাকে সবার মাঝে। কিন্তু কোরবানির ঈদ মানেই আনন্দ টা একটু বেশি। কোরবানির ঈদে আল্লাহ তালা কে খুশি করার জন্য সারা বিশ্বের মুসলিমরা পশু জবাই করে থাকে। কোরবানি মানেই ত্যাগ এবং কোরবানির ঈদ মানে ত্যাগের ঈদ বা বিসর্জনের ঈদ। তাই আমরা এই ঈদে আশেপাশে গরীব দুঃখীদের নিয়ে ভাগাভাগি করে নিবো। আমাদের উচিত গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমত সহযোগিতা করা এই কোরবানির ঈদে। চলুন তাহলে জানা যাক বিখ্যাত ব্যাক্তিদের কিছু স্ট্যাটাস কুরবানী নিয়ে।
- পশু কোরবানী নয় বান্দা আমার এসে তোমার পশুত্ব কোরবানি। – এম এম মামুনুর রশিদ
- প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য আপন খাহেশ কে কোরবানি করাই হল আসল কোরবানি। – মাওলানা ভাসানী
- আল্লাহর নামে কোরবানি করা মুসলমান তোমার কোরবানিতে খুশি হবে রহমান। – এম এম মামুনুর রশিদ
- কোরবানির শুধু আল্লাহর নামে করতে হবে ভাই বোন আল্লাহ ছাড়া আর কারো নামে হারাম জানাই। – এম এম মামুনুর রশিদ
শেষ কথা
এই ঈদে আল্লাহ তালা কে খুশি করার জন্য আমরা পশু জবাই করে থাকি। এবং সেই পশু জবাই করা মাংস আমরা এক ভাগ রেখে বাকি সব গরীব-দুঃখীদের জন্য বিলিয়ে দেই। কোরবানির ঈদে মুসলমানদের কাজ হল ক্ষুদ বিশিষ্ট পশু জবাই না দেওয়া। কারণ ক্ষুদ বিশিষ্ট পশু কোরবানি দেওয়া ইসলামের আলোকে বৈধ নয়। তাই আমরা ইসলামের বিধান অনুযায়ী পশু কোরবানী দেব। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কোরবানি নিয়ে কিছু কথা এবং মুক্তি সম্পর্কে জানাতে চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগবে।