আমাদের মাঝে অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাদের পড়ালেখা শেষ করে বেকারত্ব জীবন কাটাচ্ছে। এখন শিক্ষিত মানুষ বেকারত্ব বসে না থেকে তারা সবসময় নতুন কিছু করতে চায়। এখন আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি স্বল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। এর জন্য আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। নতুন যে সকল উদ্যোক্তা রয়েছে ব্যবসা করার জন্য তাদের অনেকের স্বল্প পরিমাণ পুঁজি থাকে এবং তারা বাধ্য হয় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে। ঋণ নিয়ে প্রচুর টাকা সুধ হয়ে যায় শেখাবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার অনেক প্রকল্প চালু করেছে। যেমন একটি হলো অনলাইন মোবাইল লোন, আরেকটি হলো প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। যা আমরা বলে থাকি প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন কত প্রকার
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ তিন প্রকার।
- শিশু ঋণ একজন শিশু যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন দিবে।
- কিশোর ঋণ একজন কিশোর যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা থেকে তাকে ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হবে।
- তরুণ ঋণ একজন তরুণ যদি ব্যবসায়ী হতে চায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা থেকে সে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার মতন লোন উঠাতে পারবে।
আপনারা যারা নিজেরা নিজেরাই ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের অবশ্যই অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। কারণ বর্তমান সময়ে আপনি কম টাকায় কোন ব্যবসা উন্নতি করতে পারবেন না। এখন সবকিছুর দাম অনেকটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যারা তরুণ এবং কিশোর রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে তারা স্বল্প পুঁজির কারণে কোন ব্যবসার জন্য উদ্যোগ নিতে পারে না। কিন্তু বর্তমান সরকার আপনাদের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ চালু করেছে। যেখান থেকে আপনারা টাকা লোন নিয়ে আপনারা ব্যবসা করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ আবেদন
- প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা লোন নিতে সরকারি ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংকে আবেদন করা যেতে পারে।
- RBI ২৭ টি সরকারি ব্যাংক,১৭ টি বেসরকারি ব্যাংক, ৩১ গ্রামীণ ব্যাংক, ৪ টি সমবায় ব্যাংক ও ৩৬ টি মাইক্রো ফাইন্যান্স সংস্থাকে মুদ্রা যোজনার আওতায় লোন দিতে অনুমতি দিয়েছে।
- এছাড়াও আপনি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ লোন নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
- আপনি যদি চান সরাসরি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। হেলপ্লাইন নম্বরটি হলো ১৮০০১৮০১১১১১।
এখনকার বেশিরভাগ যুবক নিজেরাই নিজের উদ্যোক্তা হতে চান। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের স্বল্প পুঁজির কারণ আমরা নিজেদের কোন ব্যবসা শুরু করতে পারি না। এজন্য আমাদের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আমাদের সুদের পরিমাণ অনেক টাকা হয়ে যায়। যেটি আমাদের পরিশোধ করতে অনেক কষ্ট হয়। তাই বাংলাদেশ সরকার একটি প্রকল্প শুরু করেছে যে প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। যেখান থেকে আপনারা খুব সহজে লোন নিতে পারবেন। লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে আবেদন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সুবিধা
- বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা সুদের হার অনেক কম।
- আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ থেকে টাকা উঠানো তাহলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।
- কৃষক থেকে শুরু করে একজন গাড়িচালক সবাই এখানে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
- লোন পরিশোধের জন্য আপনি সময় পাবেন ৩ থেকে ৫ বছর।
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন বাংলাদেশ সরকার একটি প্রকল্প শুরু করেছে। যে প্রকল্পটি নাম হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। এখান থেকে আপনারা চাইলে লোন উঠাতে পারবেন। যারা ব্যবসা করতে চান তারা চাইলে এখান থেকে লোন নিতে পারেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ থেকে ঋণ নিলে আপনি সর্বোচ্চ সুবিধা এখান থেকে পাবেন। এখানে অন্যান্য ব্যাংকে তুলনায় সবথেকে সুদের হার কম। এবং আপনার ঋণ পরিশোধ করার জন্য অনেক সময় দেয় এখান থেকে। তাই আপনারা চাইলে প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ থেকে ঋণ নিতে পারেন।
শেষ কথা
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষিত যুবক রয়েছে যারা কোন চাকরি পাচ্ছে না। এজন্য তারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে চায়। ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। অনেকেই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নেন। এই লোন নিয়ে পরে আপনাকে অনেক সুখ দিতে হয়। পড়ে আপনাদের টাকা পরিশোধ করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্প টি শুরু করেছে সেখান থেকে আপনারা লোন নিতে পারবেন। ব্যাংকের লোন নিয়ে আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকে।